পাতিহাল স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
আমতাগামী একটি আপ লোকাল নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময় স্টেশনে দাঁড়িয়েছে, এই অভিযোগে পাতিহালে প্রায় এক ঘণ্টা যাত্রী বিক্ষোভ হল মঙ্গলবার রাতে। যাত্রীদের অভিযোগ, কম সময় দাঁড়ানোর জন্য যাত্রীদের ওঠানামার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। নামতে গিয়ে জখম হন এক মহিলা-সহ কয়েক জন। বিক্ষোভের পাশাপাশি রেল অবরোধও হয়। বিক্ষোভের মুখে ট্রেনের চালক ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দেন বলে যাত্রীদের দাবি।
রেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানেননি। ট্রেনটির চালক রঞ্জিৎ চৌধুরীর দাবি, ‘‘পাতিহালে বহু যাত্রী নামেন। তাই কম সময় দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। বরং, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিই দাঁড়িয়েছিল ট্রেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘যাত্রীরা আমাকে দিয়ে জোর করে একটি কাগজে ভুল স্বীকার করার কথা লেখান।’’ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরন বলেন, ‘‘ট্রেনটি নিয়ম মেনেই দাঁড়িয়েছিল। ঘটনার পরে ট্রেনটির গার্ড নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা-ও পরীক্ষা করা হয়। তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।’’
সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ, এক প্রৌঢ় ট্রেনযাত্রীকে নির্দিষ্ট স্টেশনে না-নামানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে এই শাখাতেই। প্রান্তিক স্টেশনে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ দিনের ঘটনার জেরে পরিষেবার মান নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে নিত্যযাত্রীদের।
যাত্রীরা জানান, এই শাখায় ট্রেন মেলে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে। পাতিহালে বহু যাত্রী ওঠা-নামা করেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আমতাগামী আপ লোকালটিকে পাতিহাল স্টেশনে নির্ধারিত সময় না দাঁড়িয়েই ছেড়ে দিতে দেখে মহিলা-সহ অনেক যাত্রীই কার্যত লাফিয়ে নামেন। অনেকে উঠতেও পারেননি।
ওই ট্রেনে ছিলেন নিত্যযাত্রী বিদ্যুৎ বেরা। তাঁর দাবি, লোকাল ট্রেন ৩০ সেকেন্ড দাঁড়ায়। কিন্তু এ দিন ট্রেনটি ১০-১২ সেকেন্ড দাঁড়ানোর পরেই চলতে শুরু করে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে বহু যাত্রী প্ল্যাটফর্মের উপরে পড়েন। এক মহিলা-সহ জনা সাতেক যাত্রী আহত হন। তাঁদের হাতে, পায়ে, মাথায় আঘাত লাগে।’’ এরপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি আমতা থেকে ডাউনে হাওড়ায় যাওয়ার পথে পাতিহালে এলে যাত্রীরা সেটি আটকান। চালককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। শেষ পর্যন্ত চালক মুচলেকা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অবরোধ ওঠে। ট্রেনটি হাওড়ার দিকে রওনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy