Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Kanaipur Child Death

শ্রেয়াংশু খুনে ধরা পড়েনি কেউ, দ্রুত কিনারার আশ্বাস

শ্রেয়াংশুর বাবা পঙ্কজ বা কাকা প্রভাত শর্মা বারে বারেই জানিয়েছেন, তাঁদের কোনও শত্রু নেই।

দোষীর গ্রেফতারের দাবিতে পথে এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র

দোষীর গ্রেফতারের দাবিতে পথে এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০০
Share: Save:

মাথা থেঁতলে কানাইপুরের দশ বছরের বালক শ্রেয়াংশু শর্মাকে খুনের ৪৮ ঘণ্টা পরেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা মনে করছেন, অপরাধের কিনারা হবে শীঘ্রই। উত্তরপাড়া থানা এলাকার কানাইপুরের আদর্শনগরে ইংলিশ রোডে শ্রেয়াংশুদের বাড়িতে শনিবার বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। রবিবার ফের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল আসে। দিনভর পুলিশ অফিসারদেরও আনাগোনা ছিল।

কমিশনারেটের এসিপি আলি রাজা বলেন, ‘‘সম্ভাব্য অনেক দিক খোলা রয়েছে। তদন্তকারী দল সবটাই খতিয়ে দেখছে। একটু সময় লাগলেও ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে।’’ ফরেন্সিক দলের তরফে অভিজিৎ মান্ডে বলেন, ‘‘আমরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করলাম। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার আগে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।’’

ফুটফুটে ওই বালককে নৃশংস ভাবে খুনের সামাজিক অভিঘাত হয়েছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে এ দিন এলাকায় শান্তি মিছিল হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় শুক্ল বলেন, ‘‘একটি বাচ্চা এই ভাবে খুন হয়ে গেল, সবাই আতঙ্কে ভুগছেন। বাচ্চারা একা থাকতে চাইছে না। পুলিশ যাতে দ্রুত দোষীদের ধরে, সেই জন্য আমরা মোমবাতি মিছিল করব।’’ এ দিনও শ্রেয়াংশুদের বাড়ির আশপাশে
জটলা ছিল।

শ্রেয়াংশুর বাবা পঙ্কজ বা কাকা প্রভাত শর্মা বারে বারেই জানিয়েছেন, তাঁদের কোনও শত্রু নেই। তবে অনেকেরই বক্তব্য, যে ভাবে অল্প সময় একা থাকার সুযোগে শ্রেয়াংশুকে মেরে ফেলা হয়, তাতে ঘটনার নেপথ্যে পরিবারের পরিচিত কারও যুক্ত থাকার তত্ত্বই জোরালো হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক পরিমণ্ডলে এমন কিছু ঘটে গিয়ে থাকতে পারে, যার অনিবার্য অভিঘাত বাচ্চাটির উপরে পড়েছে। তদন্তকারীরা কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘নতুন নতুন দিক উঠে আসছে। তদন্তের ব্যাপ্তিও বেড়ে যাচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনও বাড়িতে বা রাস্তায় সিসি ক্যামেরা না-থাকায় ওই বাড়িতে কারও যাতায়াতের ফুটেজ মেলেনি। তবে তাতে রহস্যভেদে সমস্যা হবে না বলেই তদন্তকারীদের দাবি।

শ্রেয়াংশুর আত্মীয়েরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সে টিভিতে কার্টুন দেখছিল। তার বাবা, মা, কাকা কর্মস্থলে ছিলেন। কাকার মেয়ে পড়তে গিয়েছিল। কাছেই কাকিমার একটি দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কাকিমা দোকানে যান। শ্রেয়াংশুকে যেতে বললেও সে যায়নি। মিনিট পঁয়তাল্লিশ পরে কাকার মেয়ে ফিরে এসে দেখে, শ্রেয়াংশু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, বাড়িতে থাকা পাথরের গণেশ-মূর্তি এবং ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেয় আততায়ী। শ্রেয়াংশুর হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanaipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE