Advertisement
E-Paper

হাসপাতাল থেকে ‘শিশু চুরি’ করে পালাচ্ছিলেন মহিলা! কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই গ্রেফতার হলেন শ্রীরামপুরে

ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান শ্রীরামপুর থানার আইসি। চন্দননগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারও ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। শ্রীরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। সেই অভিযানেই শ্রীরামপুরের নগার মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করা হয়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ২২:১৭
‘শিশু চুরি’র অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

‘শিশু চুরি’র অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

হাসপাতাল থেকে ‘শিশু চুরি’ করে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুর ওয়াল্‌স হাসপাতালে। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই মহিলাকে পাকড়াও করে নেয় পুলিশ। শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কোন্নগরের ঘোষাল বাগানের বাসিন্দা নেহা কুর্মি এক সপ্তাহে আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। বুধবার ওই মহিলা এবং তাঁর সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। নেহার পরিবারের এক সদস্য তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে অপর এক মহিলা ওই সদ্যোজাতকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সদ্যোজাতকে দেখে কোলে নিতে ইচ্ছা করছে— এই বলে মায়ের থেকে তাঁর সন্তানকে চান অভিযুক্ত মহিলা। শিশুর মা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা।

ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। অভিযোগ দায়ের করা হয় শ্রীরামপুর থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান শ্রীরামপুর থানার আইসি। চন্দননগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারও ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। শ্রীরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। সেই অভিযানেই শ্রীরামপুরের নগার মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করা হয়।

বুধবারের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ছবি পুলিশের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। নাকা চেকিং শুরু হয়, খুব দ্রুত ট্রাফিক পুলিশ একটি টোটোকে আটক করে। সেখান থেকেই মহিলা ও শিশুকে পাওয়া যায়। শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

মহিলাকে আটক করার পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল— এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতাল চত্বরে ওই মহিলা একাই ছিলেন। তবে তিনি কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার জন্য ট্রাফিক সাব ইনস্পেক্টর পিন্টু নন্দী এবং তাঁর দলকে ব্যক্তিগত ভাবে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। ডিসিপি অর্ণব সেই পুরস্কার তুলে দেন শ্রীরামপুর থানায় এসআই পিন্টুর হাতে।

Serampore Child theft
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy