আত্মহত্যা করতে যাওয়া বছর সতেরোর এক নাবালককে বাঁচালেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী রাত পাহারায় বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর শুনতে পান, এক মহিলা কাঁদছেন। ওই মহিলা জানান, তাঁর ছেলে ঝগড়া করে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে ঘর ছেড়েছে। এরপরে মহিলাকে নিয়ে ওই নাবালকের খোঁজ শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যায়, ওই নাবালক গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে গাছ থেকে ঝুলছে। মুহূর্ত দেরি না করে ওই পুলিশকর্মী ওই নাবালককে তুলে ধরেন, যাতে ফাঁস আলগা হয়। আর মহিলাকে বলেন, কোনও ধারালো অস্ত্র এনে ওই ফাঁস কাটার জন্যে। এলাকাবাসী এসে বঁটি দিয়ে গামছার ফাঁস কেটে ওই নাবালককে নীচে নামান। ধীরে ধীরে সুস্থ করে তাকে পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
ওই মহিলা জানান, বছর দশেক আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। মেয়ের বিয়ের পর দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকেন। মহিলার কথায়, ‘‘কয়েকটি ঘর ভাড়ার আয় থেকে সংসার চলে। ছোট ছেলে দামি মোটরবাইক কেনার বায়না করছিল। তা দিতে পারিনি। ভয় দেখাত, আত্মহত্যা করবে। কিন্তু সত্যি সেটা করার চেষ্টা করবে ভাবিনি। ওকে বোঝাব।’’ তবে ওই পুলিশকর্মীর এমন সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তিনি।
ওই পুলিশ কর্মীর কথায়, ‘‘মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। কেউ উপকৃত হলে ভাল লাগে। একজনকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পেরে ভাল লাগছে।’’ ওই পুলিশ কর্মীর এই ভূমিকায় খুশি হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই কর্মী পুরো পুলিশমহলকে গর্বিত করেছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)