ছাদের চাঙড় খসে পড়ছে প্রায়। দেওয়ালের ইট বেরিয়ে এসেছে। বর্ষায় ছাদের ফাটা অংশ দিয়ে জল ঝরে। এমন দুরবস্থা জগৎবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি-১ পঞ্চায়েতের শিবতলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির। অভিভাবকরা দুর্ঘটনার ভয়ে তাঁদের সন্তানদের এখানে আর পড়তে পাঠান না। শুধুমাত্র খাবার নিতে এখানে প্রতিদিন ভিড় জমায় ওই খুদেরা।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি ক্লাবে চলছে কেন্দ্রটি। ক্লাবের একটি ঘর এবং ঘর সংলগ্ন একটি ছোট বারান্দায় চলে পড়াশোনা। আর অন্যদিকে রাখা থাকে রান্নার নানা উপকরণ। ঘরের ছাদের অধিকাংশটাই ক্ষতিগ্রস্ত। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পিছনের অংশ জঙ্গলে ভরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, জঙ্গল থেকে প্রায়ই বিষাক্ত সাপ ঢুকে পড়ে ঘরে। এই কেন্দ্রে কর্মী ও শিক্ষকেরও অভাব রয়েছে।জলের ব্যবস্থা নেই, নেই কোনও শৌচালয়ও।
এমন পরিস্থিতির জন্য ১২ জন পড়ুয়ার মধ্যে দেখা মেলে মাত্র চার জনের। বাকিরা শুধু আসে খাবার দেওয়ার সময়ে। কেন্দ্রের কর্মী ববিতা সরকারের ক্ষোভ, ‘‘তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরটির হাল খারাপ। পঞ্চায়েতকে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু শুধু ত্রিপল পাঠিয়েই দায়সেরেছে তারা।’’
ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নজরে আছে। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিকে স্থানান্তরিত করা যায় কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। পাশাপাশি সহায়িকা নিয়োগের প্রক্রিয়াও শেষের পথে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)