প্রতীকী ছবি।
হুগলিতে আবাস প্লাসের তালিকায় প্রথম পর্বে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার বাড়ি। সেই উপভোক্তাদের অনুমোদনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ল। বাড়ি পেতে চলেছেন ৬০ হাজারেরও বেশি উপভোক্তা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শান্তনু বালা বলেন, ‘‘লক্ষ্যমাত্রা এখন বেড়ে মোট ৬০ হাজার ৬৬৬ জন হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার উপভোক্তার জমি-জট রয়েছে। সেগুলি ঠিকঠাক করে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণহয়ে যাবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি করার নির্দেশ রয়েছে। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তিন দফায় কখন দিতে হবে হবে তা-ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন, প্রথম দফার ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার ৪০ দিন পরে দ্বিতীয় দফার ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়ার পর ৩৫ দিনের মাথায় শেষ দফার ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অতীতে আবাস যোজনায় উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর নির্মাণ সংক্রান্ত তদারকি দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনের উপর থাকলেও নির্মাণ শেষের সময়সীমা নিয়ে কড়াকড়ি ছিল না। বাড়ি তৈরির মাপ অনুযায়ী টাকা দেওয়া হত। যেমন, জানলা স্তর পর্যন্ত হলে দ্বিতীয় দফার টাকা মিলত। অভিযোগ, এই ব্যবস্থায় উপভোক্তা অন্য খাতে টাকা খরচ করে ফেলতেন। বাড়ি তৈরি করতে চার বছরও লেগে যেত। টাকা নিয়েও বাড়ি না করায় উপভোক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করারও দৃষ্টান্ত আছে।
২০১৮ সালের আবাস তালিকায় এই জেলায় মোট আবেদন ছিল ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৫১৩টি। সমীক্ষায় বাদ পড়েছেন ৬৭ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে রাজ্যের অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকায় প্রথম পর্বে মোট ৬০ হাজার ৬৬৬ জনকে বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। বাকিরা পরবর্তী পর্যায়ে বাড়ি পাবেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy