কাল, ২৫ জানুয়ারি পুরশুড়ার সেকেন্দারপুরে জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার প্রস্তুতি নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই দলের অন্দরে সাজো সাজো রব। দলের জেলা নেতৃত্ব মনে করছেন, লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা প্রায় ২০০০ বাস ভাড়া করে ফেলেছেন। সেই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে ‘অশুভ শক্তি’র বিনাশে শনিবার পুরশুড়ার ডিহিবাতপুরে তাঁরা যজ্ঞও করেন। চলতি মাসের ৩১ তারিখ রাজ্যে ফের আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর উপস্থিতিতে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতাকর্মী তাদের দলে যোগ দিতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তাই পুরশুড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূল জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যত কর্মী-সমর্থক যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাতে ২০০০ বাস লাগছে। তবে, হুগলিতে অত বাস না-থাকায় হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমান থেকেও ভাড়া করতে হয়েছে। এর পরেও বহু কর্মী আলাদা ভাবে বাস, ট্রেকার বা ভ্যানে যাবেন। দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য আমরা সারা জেলায় মোট ১৪৯টি ‘ওয়েলকাম গেট’ করেছি। বাস নেওয়ার জন্য আগাম মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সে দিন তাঁদের হয়তো কিছুটা সমস্যা হবে। তবে প্রত্যেক দলীয় কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের জন্য পথে বের হওয়া সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য।’’
এ দিন ডিহিবাতপুরে যজ্ঞের আয়োজন প্রসঙ্গে আরামবাগের পুর-প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, ‘‘গত বছর করোনায় খারাপ সময় কেটেছে মানুষের। নতুন বছরে দিদি আসছেন আরামবাগে। আমরা খেয়াল করছি, নানা প্রান্তে একটা অশুভ শক্তি আমাদের উন্নয়নের গতিকে রদ করতে চাইছে। তাই ভগবানে কাছে অশুভ শক্তির বিনাশের আকাঙ্ক্ষায় এই যজ্ঞ।’’
তৃণমূলের এই তোড়জোড়, যজ্ঞ দেখে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের টিপ্পনী, ‘‘শাসক দল যত পারে যজ্ঞ করে যাক। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, চন্দননগরেও যজ্ঞ হয়েছে। কেউ তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। আমরাই রাজ্যে ক্ষমতায় আসব। তৃণমূল সেটা বুঝে গিয়েছে।’’