Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Arambagh

বাড়ল সরকারি সহায়ক মূল্য, শুরু ধান কেনা

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বার সহায়ক মূল্য ১১৭ টাকা বেড়ে কুইন্টাল প্রতি হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে (সিপিসি) দিলে আরও ২০ টাকা উৎসাহ-ভাতা যোগ করে চাষিরা পাবেন ২ হাজার ৩২০ হাজার টাকা।

ধান ক্রয় কেন্দ্র খুলল। শনিবার গোঘাট ১ ব্লকের ভিকদাসে।

ধান ক্রয় কেন্দ্র খুলল। শনিবার গোঘাট ১ ব্লকের ভিকদাসে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩০
Share: Save:

রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো হুগলিতেও চলতি খরিফ মরসুমে (২০২৪-’২৫) সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হল শনিবার থেকে। এখনও আমন ধান না ওঠায় প্রথম দিন শিবিরগুলিতে চাষিদের ভিড় দেখা যায়নি। তবে, বন্যা, নিম্নচাপ এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টিতে আমন চাষে যে ধাক্কা লেগেছে, তার ফলে এক কুইন্টাল ধান থেকে কত চাল মিলবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চালকল মালিক এবং চাষি— দু’পক্ষই।

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বার সহায়ক মূল্য ১১৭ টাকা বেড়ে কুইন্টাল প্রতি হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে (সিপিসি) দিলে আরও ২০ টাকা উৎসাহ-ভাতা যোগ করে চাষিরা পাবেন ২ হাজার ৩২০ হাজার টাকা। আপাতত জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ লক্ষ টন স্থির হয়েছে।

চাষিদের আশঙ্কা, ফসলের গুণমানের অজুহাত তুলে কুইন্টালপ্রতি অনেকটা ‘বাটা’র (খারাপ অজুহাতে বাদ) দাবি করতে পারে চালকলগুলি। চালকল-মালিকদেরও আশঙ্কা, দুর্যোগে আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুণমান যথাযথ থাকবে না। এক কুইন্টাল ধান থেকে যে চাল পাওয়ার কথা, সেই অনুপাত আসবে না। অনুপাত ঠিক করতে কুইন্টালপ্রতি যে ধান বাদ দেওয়া দরকার, সেটা করতে গেলে অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।

জেলা খাদ্য দফতরের এক অফিসার বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দেখে ধান বাদের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের মোট ৬০টি সিপিসি-ই (সেন্ট্রালাইজ়ড প্রোকিউরমেন্ট সেন্টার) খোলা হয়েছে। চাষিরা ধান নিয়ে এলেই নেওয়া হবে। প্রথম দিন কিছু চাষির থেকে শুধুমাত্র আউস বা পুরনো ধান মাত্র ২৯ কুইন্টাল ৩০ কেজি কেনা হয়েছে।’’

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিসি ছাড়াও সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং এফপিও (ফারমার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন) থেকেও ধান কেনা হবে। ওজনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সর্বত্র ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে নয়া প্রযুক্তির ই-পস যন্ত্র যুক্ত থাকবে।

চলতি মরসুমে হুগলিতে সরকারের কেনা ধান প্রক্রিয়াকরণ করতে এ দিন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৭৩টি চালকল। জেলা চালকল মালিক সংগঠনের কর্মকর্তা সুনীলকুমার ঘোষ বলেন, “এখনও আমন ধান ওঠেনি। আগে ফলা কিছু আউস ধান হয়তো ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে আসবে।”

চাষিদের মধ্যে পুরশুড়ার কেলেপাড়ার বাপ্পাদিত্য ধোলে, গোঘাটের বালি গ্রামের বিদ্যুত মণ্ডল, তারকেশ্বরের নছিপুরে সুজন কুন্ডু প্রমুখ জানান, দুর্যোগের পর যেটুকু ধান টিকেছে, তা কেটে শুকিয়ে ঘরে তুলতে এখনও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। ফসলের গুণমানের অজুহাতে কুইন্টালপ্রতি ‘বাটা’ নিয়ে জটিলতা হলে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh Government Subsidy Paddy Kharif season
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy