E-Paper

দীর্ঘদিন দু’পারের দুই ঘাটে ফেরি পরিষেবা বন্ধে ক্ষোভ

এখানে ভুটভুটি চলত। ওঠানামার জন্য বাঁশের মাঁচা ছিল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তেলেনিপাড়ায় জেটি দুর্ঘটনার জেরে সব অস্থায়ী ঘাট বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার।

প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৬
ফেরি চলাচলের অপেক্ষায়। রাধাবল্লভ ফেরিঘাট। বুধবার।

ফেরি চলাচলের অপেক্ষায়। রাধাবল্লভ ফেরিঘাট। বুধবার। নিজস্ব চিত্র ।

হাওড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির একাধিক ফেরিঘাটে নানা পরিকাঠামোর উদ্বোধন করলেন। কিন্তু সেই তালিকায় রইল না শ্রীরামপুরের রাধাবল্লভ ঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের রানি রাসমণি ঘাটের মধ্যে ফেরি চলাচল। এই পরিষেবা কবে চালু হবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছে। কেননা, অপেক্ষা পাঁচ বছর গড়িয়ে গিয়েছে। ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের।

তবে, এ দিনই পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর মধ্যস্থতায় নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দ্রুত এই ঘাট চালুর আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

এখানে ভুটভুটি চলত। ওঠানামার জন্য বাঁশের মাঁচা ছিল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তেলেনিপাড়ায় জেটি দুর্ঘটনার জেরে সব অস্থায়ী ঘাট বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। পরে সুরক্ষার কিছু বন্দোবস্ত করে এই ঘাট কিছু দিন চলে। কংক্রিটের জেটি-সহ আধুনিক পরিকাঠামো গড়ার জন্য ২০১৮ সালের জুলাইতে পরিষেবা বন্ধ হয়। সেই থেকে বন্ধই।

জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের দিকে জেটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। করোনা-পর্ব এবং তার আগে-পরে বারে বারেই কাজ থমকেছে। ২০২২ সালের অগস্টে জেটির কাজ শেষ হয়। পরে কোলাপসিবল গেট, টিকিট কাউন্টার হয়। বসেছে স্মার্টগেট। সব মিলিয়ে পরিকাঠামো তৈরিতে ৭ কোটির বেশি টাকা খরচ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিকাঠামোর কাজ ব্যারাকপুরের দিকেও প্রায় তৈরি। কিন্তু ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।

চার বছর আগে রাজ্য সরকারের তরফে দু’টি বোট এসেছিল। সে’দুটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। বুধবার রাধাবল্লভ ঘাটে দেখা গেল, পরিকাঠামো প্রায় তৈরি হলেও জেটিতে আলো
বসেনি। বৃষ্টিতে গ্যাংওয়েতে জল জমার সমস্যা রয়েছে।

স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কবে ঘাট চালু হবে, যাত্রীরা রোজই জানতে চাইছেন। পুরপ্রধান, বিধায়ক, সাংসদ, পরিবহণমন্ত্রী সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’ পরিবহণমন্ত্রী প্রথমে ফোনে বলেন, ‘‘অল্প কিছু কাজ বাকি। বিষয়টি দেখছি।’’ এর পরেই তিনি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আধিকারিকেরা শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী সাহার সঙ্গে কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যত শীঘ্র সম্ভব ওই ফেরিঘাট চালু করা হবে।’’

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আশা করছি, শীঘ্রই পরিষেবা চালু হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Serampore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy