এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেও অশান্তি এড়ানো যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান কে হবেন এবং বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তপ্ত হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাস্থলে গেল পুলিশবাহিনী। নামাতে হল র্যাফ-ও। যদিও তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন।
ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের সবগুলিই তৃণমূলের দখলে। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন, তাই নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই। গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। পুলিশ এবং র্যাফকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। সে বার বোর্ড গঠন ভেস্তে যায়। এর পর শুক্রবার বোর্ড গঠনের কথা ছিল। তাই সকাল থেকে পঞ্চায়েত অফিসের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সকাল থেকেই পুলিশবাহিনী এবং র্যাফ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু তার পরেও গন্ডগোল এড়ানো যায়নি।
তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী মামণি বেগমের গোষ্ঠী মৌসুমী পালের গোষ্ঠীর সদস্যদের মারধর করে পঞ্চায়েতের ঘর থেকে বার করে দেয়। এমনকি, চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই ভাবে ওই গোষ্ঠীর পাঁচ জনকে বার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পঞ্চায়েত অফিসেও তালা দিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ মামণি বেগমের গোষ্ঠী পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে। মামণি নিজে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন। তিনি সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিকের সমর্থন পেয়েছেন বলে খবর।
অন্য দিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছে। বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করার জন্য তৃণমূল সদস্যরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy