রাস্তায় বসেছে হাইমাস্ট আলো। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
চণ্ডীতলা-২ ব্লক লাগোয়া সিঙ্গুর থেকে রাজ্যে ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুবাদে চণ্ডীতলা-২ ব্লকের নৈটি ভোদা পুকুর থেকে সংযোজক রাস্তায় পিচ পড়েছে। একই ভাবে বাকসা দ্বাদশ মন্দির তলা থেকে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত রাস্তাও মসৃণ হয়েছে। সেই কাজের ফিরিস্তি পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের মুখে ফিরছে।
চণ্ডীতলা-২ ব্লকের নিকাশি সমস্যা বরাবরের। পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি পঞ্চায়েতকে কমবেশি ছুঁয়েছে সরস্বতী নদী। সেই নদীই এখন কার্যত স্রেফ গায়েব। কোথাও কোনওক্রমে চিহ্নটুকু সার। আর এলাকার মানুষজন জল জমার সমস্যায় জেরবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষা এলেই জল জমা নিয়ে নাস্তানাবুদ হন তাঁরা।
অবশ্য রাস্তাঘাট, নিকাশি এবং পথবাতির কাজ নিয়েই হুগলি পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের গভীর প্রত্যয়। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে ঢোঁক গিলছেন তাঁরা। চণ্ডীতলা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘রাস্তার সঙ্গে এলাকার ৭৫ শতাংশ নিকাশির কাজ করা হয়েছে। ৯টা পঞ্চায়েত এলাকায় হাইমাস্ট পথবাতি লাগানো হয়েছে। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য আবেদন জানান হয়েছে। দ্রুত অনুমোদন মিলবে বলেই আশা।’’
বিজেপি, সিপিএমের নেতারা অবশ্য চণ্ডীতলা-২ ব্লকে দূরবীন দিয়েও শাসকদলের কাজ দেখতে পাচ্ছেন না। তাছাড়া তাঁদের প্রশ্ন, রাস্তা সংস্কারে এত দেরি কেন? শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের রাজ্য সরকারের উন্নয়নের দেয় টাকার খরচ বা পরিকল্পনা কিছুই করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্য তথা কৃষক সভার নেতা শেখর সাঁতরার ক্ষোভ, ‘‘আমরা গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে উন্নয়নের কাজে যোগ দিতে চেয়েছিলাম। সাধ্যমতো নিয়েওছি। এলাকায় কৃষিজীবীদের জন্য সোলার পাম্প বসিয়েছি। তবে আমি যে জায়গার সদস্য, সেখানে গরিব মানুষের বাস বেশি। আবাস যোজনায় তাঁদের অনেকেই ঘর পাননি।’’
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিজেপি নেতা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রচার সর্বস্ব একটি দল। কাগজে- কলমে ১০০ শতাংশ কাজ করেছে। বাস্তবে নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিতে টাকা পেয়েও কাজ করেনি। ভোটের আগে লোক দেখাতে শুধু পাইপ এনে ফেলে রেখে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy