প্রথা মেনে অক্ষয় তৃতীয়ায় চন্দনযাত্রা উৎসব হল মাহেশের বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরে। কার্যত রথযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হল এ দিন থেকে। জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার মাথা যন্ত্রণার উপশমের জন্য চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয় তিন বিগ্রহের কপালে। ভক্তদের সমাগম হয়। পুজোর পাশাপাশি যজ্ঞও হয়। অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে অনেকে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো দিতে এই মন্দিরে আসেন।
মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী জানান, অক্ষয় তৃতীয়া থেকে ৪১ দিন ধরে চন্দন লেপনের পরেও উপশম না হওয়ায় পরের দিন তিন বিগ্রহকে দুধ-গঙ্গাজলে স্নান করানো হয়। সে দিন স্নানযাত্রা। তার ১৫ দিন পরে রথে চেপে তিন দেবতার বিগ্রহকে মাসির বাড়ি (জগন্নাথের সখী পৌর্ণমসি) নিয়ে যাওয়া হয়। এই উৎসবই রথযাত্রা।
এ দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের উদ্যোগে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় মাহেশের জগন্নাথ মন্দির চত্বরে বড় পর্দায় ওই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, ‘মেন্টর’ সুবীর মুখোপাধ্যায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকেরা, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, অরিন্দম গুঁইন, স্বাতী খন্দকার, শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা, চন্দননগরের সিপি অমিত পি জাভালগি, হুগলি গ্রামীণের এসপি কামনাশিস সেন প্রমুখ। মন্দিরে ভোগ বিতরণ অনুষ্ঠানেও শামিল হন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার ৫৩তম বাৎসরিক উৎসব হয় মাহেশের শ্যামসুন্দর মন্দিরেও। মন্দিরের পক্ষে বলাই বণিক জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান হয়। সন্ধ্যায় ছিল ভক্তিগীতি কীর্তন। আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বসবে লোকগানের আসর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)