E-Paper

শিক্ষকের ভূমিকায় স্কুলের সভাপতি, বিএড পড়ুয়ারাও

স্কুলের অঙ্ক এবং ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। সেই ক্লাস নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা।

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছিলেন মোট ১০ জন শিক্ষক। তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাকরি বাতিল হয়েছে তিন জনের। এই অবস্থায় পঠনপাঠন কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে গোঘাটের কামারপুকুর নয়নতারা বালিকা বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) কর্তৃপক্ষের। আপাতত পরিস্থিতি সামলাতে তাঁরা ডেকে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ নিতে আসা স্থানীয় বিএড পড়ুয়াদেরও।

ওই স্কুলের ইউনিট পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৫ এপ্রিল। তার একদিন পর থেকেই ক্লাস শুরু হয়েছে জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বাড়তি ক্লাস তো নিচ্ছিই। স্কুলের সভাপতি এবং পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী অন্য সদস্যেরাও এসে ক্লাস নিচ্ছেন। এ ছাড়া স্কুলে বিএডের প্রশিক্ষণ নিতে আসা পড়ুয়াদেরও ডেকে নিয়েছি। সপ্তাহের এক বা দু’দিন করে এসে তাঁরাও ক্লাস করছেন।”

স্কুলের অঙ্ক এবং ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। সেই ক্লাস নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা। ভূগোলের শিক্ষক না থাকায় নবম ও দশম শ্রেণিতে সেই বিষয়ে পড়াচ্ছেন পরিচালন কমিটির সরকারি প্রতিনিধি। স্কুলের সভাপতি পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজির ক্লাস নিচ্ছেন। এ ছাড়া স্কুল চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।

স্কুলের সভাপতি শুভ্রপ্রকাশ লাহা বলেন, “স্কুলে প্রায় ৭০০ ছাত্রী। এমনিতে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা কম ছিলই। এখন তিন জন কমে যাওয়ায় সংখ্যাটা সাত জনে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় দিনে যদি নিচু শ্রেণির দু’টি ক্লাসও নিতে পারি, তা হলে উঁচু ক্লাসগুলি ভাল ভাবে হতে পারে। তা ছাড়া, টানা ক্লাস করা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও কিছুটা বিরাম পাবেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Goghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy