—নিজস্ব চিত্র।
আগ্নেয়াস্ত্র, তালা কাটা ও ভাঙার সরঞ্জামের সঙ্গে পোর্টেবল জ্যামার নিয়ে চন্দননগরের লক্ষীগঞ্জ বাজারের স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানালেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ।
ওই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, দু’টি বাইকে যে চার জন ডাকাতি করতে এসেছিল, তারা প্রত্যেকেই বিহারের পেশাদার ডাকাত-বাহিনীর সদস্য। আগেও স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। বেশ কয়েক দিন সিঙ্গুরে ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল ওই চার জন। মাঝে এক দিন লঙ্গীগঞ্জ বাজারে এসে গোটা এলাকা রেইকি করে দুপুরের ফাঁকা সময়ে ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ডাকাতির সময় যাতে কেউ ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পোর্টেবল জ্যামারও নিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা।
কিন্তু পুলিশের অতিসক্রিয়তায় ডাকাতদের সমস্ত পরিকল্পনাই বানচাল হয়ে যায়। খবর পেয়েই গোটা এলাকায় ঘিরে ফেলে পুলিশ, যার জেরে পালাতে ব্যর্থ হয় দুষ্কৃতীরা। তারা কয়েক রাউন্ড গুলি চালালেও তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। ঘটনাস্থল থেকেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়ে পাশে দাঁড়ানো এক বাইক আরোহীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাইকে কেড়ে পালায় আর এক দুষ্কৃতী। কিন্তু তুলোপট্টি ঘাটের কাছে তাকে ধরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তার পরেই ৩৯টি পয়েন্টে নাকা তল্লাশি শুরু করে চন্দননগরের পুলিশ। রাস্তা, রেল, জলপথ— সব জায়গায় ভোর ছ’টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। ওই রাতেই চন্দননগর থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি আর এক জনের খোঁজ চলছে এখনও।
ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬২ রাউন্ড গুলি-সহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দু’টি পোর্টেবেল জ্যামার। সঙ্গে মিলেছে তালা কাটা ও ভাঙার সরঞ্জাম। বুধবার ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy