হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর বাসাই অটোস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর ছোট্ট মুদিখানার দোকান। তাতে ফটোকপিও করেন দোকানদার। তাই পড়ুয়াদের ভিড় লেগেই থাকে। অভিযোগ, দোকানে যত মহিলা যেতেন, গোপনে তাঁদের ছবি তুলে রাখতেন ওই দোকানি। পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে সেগুলো বিকৃত করে পোস্ট করতেন সমাজমাধ্যমে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা এলাকায়। দোকানদারকে জুতোপেটা করলেন কয়েক জন মহিলা এবং যুবতী। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।
অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁদের সকলের ছবি না-বলে ক্যামেরাবন্দি করতেন দোকানমালিক। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলোকে বিকৃত করতেন। শুধু তাই নয়, সেই সমস্ত নগ্ন, অশ্লীল ছবি সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতেন অভিযুক্ত। দীর্ঘ দিন ধরেই এই কাজ করছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েক জন বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁদের এ-ও অভিযোগ, দোকানে যাওয়া আট থেকে আশি, নাবালিকা থেকে বৃদ্ধা, সকলেই দোকানদারের ‘টার্গেট’ ছিলেন। রবিবার তাঁকে ধরতেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। চলে মারধর।
এক যুবতীর দাবি, ওই দোকানদারের তাঁর ছোটবেলার সহপাঠী। পুরনো বন্ধুর কাণ্ডে তিনি হতবাক। তাঁর কথায়, ‘‘আমার এক বান্ধবীর ছবি তুলে সেটা বিকৃত করে ভিডিয়ো বানিয়েছে ও। ওর (অভিযুক্ত) সাত-আটটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। সেগুলো থেকে শিশু থেকে বয়স্কাদের আপত্তিকর ছবি এআই দিয়ে বানিয়ে পোস্ট করেছে!’’
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তকে আটক করে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তার পরেও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একত্রিত হয়ে তাঁর শাস্তির দাবি জানান মহিলারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা শম্পা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ছেলেটার পরিচয় যা পাচ্ছি, তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ওর যোগাযোগ আছে। প্রচুর মেয়ের ছবি তুলে এ সব করেছে। পুলিশ-প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে প্রচুর আধার কার্ডের ছবি পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।