কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ। তদন্তে নেমে ৮ ঘণ্টার মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। শুক্রবার হুগলির ঘটনা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সিঙ্গুরের কামারকুন্ডু হোসেনপুরের বাসিন্দা সাহেনারা বেগম। অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে শেখ মাফুজকে অপহরণ করার পরে ফোনের মাধ্যমে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই নম্বর ধরে ট্র্যাক করা শুরু হয়। ওই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায়, হরিপালের কামরাজপুর নামক একটি জায়গার নাম। এর পরে সিঙ্গুর থানার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় হরিপাল থানায়। হরিপাল থানার আধিকারিকদের সহযোগিতায় কামরাজপুরে পৌঁছোয় সিঙ্গুর থানার পুলিশ। একটি মাঠের ধার থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত শেখ মাফুজকে। গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বাইকও। শুক্রবার ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা শেখ মাফুজের পূর্ব পরিচিত। তাঁকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে হরিপালের গজারমোড় এলাকায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর পরে তাঁকে অপহরণ করে কামরাজপরের এক নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। অপহরণ কাণ্ডে আরও দু’জন জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ শরিফ, শেখ নইম, শেখ জাহাঙ্গির ও শেখ হালিম। প্রত্যেকেই হরিপাল থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের পুরনো কোনও ক্রাইম রেকর্ড আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।