Advertisement
E-Paper

Coronavirus in West Bengal: চার মাস আগে কোভিডে মৃত্যু ঘিরে চাপানউতোর

হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকারের দাবি, সুমিত্রাদেবীর শারীরিক পরিস্থিতির খারাপের কথা মেয়েকে জানানো হয়েছিল। তাঁর সইও রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রায় চার মাস আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল শহরের এক প্রৌঢ়ার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন-সহ নানা অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর স্বামী। বিষয়টি গড়ায় তথ্য কমিশনার পর্যন্ত। গত ১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত শুনানি ছিল। এরপরেই বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় আসায় হইচই শুরু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানেননি।

অভিযোগকারী অহীন্দ্র বিশ্বাস শ্রীরামপুরের আড্ডি লেনের বাসিন্দা। তিনি জানান, অসুস্থ হওয়ায় স্ত্রী সুমিত্রাকে (৫৯) গত ১৯ মে ওয়ালশে সাধারণ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে সরানো হয়। অহীন্দ্রবাবুর অভিযোগ, স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি বা চিকিৎসা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। চিকিৎসকের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলতে পারেননি। ওই মাসের ২২ তারিখ রাতে জানানো হয়, স্ত্রী মারা গিয়েছেন। পরের দিন দেহ মর্গে পাঠানো হয়। কিন্তু, কোথায় কখন দাহ করা হবে, জানানো হয়নি। বেশ কয়েক দিন পরে শ্রীরামপুর পুরসভায় পাঠানো হাসপাতালের কাগজ থেকে জানতে পারেন, ২৪ মে মাহেশের শ্মশানে স্ত্রীকে দাহ করা হয়েছে।

তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) অহীন্দ্রবাবু হাসপাতালের কাছে পুরো বিষয়টি জানতে চান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানান, চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোগীর তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালে পাওয়া ‌যাবে। জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে অহীন্দ্রবাবু স্বাস্থ্য ভবন এবং রাজ্যের তথ্য কমিশনারের দফতরে চিঠি দেন। গত ১ সেপ্টেম্বর শুনানিতে তথ্য কমিশনারের দফতর হাসপাতালকে নির্দেশ দেয়, পোর্টাল থেকে চিকিৎসার তথ্য এবং কোভিডের গাইডলাইন যেন ‘ডাউনলোড’ করে অহীন্দ্রবাবুকে দেওয়া হয়। হাসপাতাল তা দিয়েছে।

অহীন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘কোভিড-রিপোর্ট এখন কাগজে দেখছি। কোভিডের গাইডলাইনে দেখছি, সাধারণ মানুষ প্রিয়জনের দেহ দাহ করতে পারেন। আমাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিছু জানানো পর্যন্ত হয়নি।’’ হতাশ অহীন্দ্রবাবু বিষয়টি নিয়ে একটি সংগঠনের
দ্বারস্থ হয়েছেন।

হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকারের দাবি, সুমিত্রাদেবীর শারীরিক পরিস্থিতির খারাপের কথা মেয়েকে জানানো হয়েছিল। তাঁর সইও রয়েছে। কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ ছিল বলেই ওই ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। প্রতি সন্ধ্যায় চিকিৎসক রোগীর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন। পোর্টাল থেকেও রোগীর বিষয়ে জানা যায়। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেহ দাহের সম্মতিপত্রে মৃতার মেয়ে সই করেছেন। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই সব হয়েছে।’’ হাসপাতালের এক কর্তা জানান, দেহ দাহের বিষয়টি প্রশাসন দেখে, হাসপাতাল নয়।

coronavirus Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy