আলু প্রক্রিয়াকরণ করে এ রাজ্যেই ভদকা, চিপস বা রুটি তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে বুধবার চুঁচুড়ায় হুগলির জেলাশাসকের দফতরে বৈঠকে এসে এ কথা জানান কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না। অতি ফলনে অনেক সময় আলুচাষিরা বিপদে পড়েন। তাই অতিরিক্ত আলু প্রক্রিয়াকরণ করে বাজারজাত করতে পারলে তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করছে সরকার। সঙ্গে রয়েছে কর্মসংস্থানের দিকটিও।
বেচারাম বলেন, ‘‘আমরা চাষিদের পাশে আছি। বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যভ্যাসে বদল হচ্ছে। উন্নত দেশগুলি এটা ধরে ফেলেছে। আলুর প্রক্রিয়াকরণ করে ভদকা বানাচ্ছে, রুটি তৈরি করছে। আমাদের থেকে ফসল নিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করে আমাদেরই চড়া দামে বিক্রি করছে। গোটা প্রক্রিয়াটাই আমরা রাজ্যে করতে চাইছি। উদ্যোগীদের সব সরকারি সাহায্য মিলবে।’’
বৈঠকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী অরূপ রায়, দফতরের সচিব ওঙ্কারনাথ মিনা, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ সরকারি অধিকারিকেরা, সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধি, জেলার ছোটবড় শিল্পোদ্যোগীরাও ছিলেন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। খাদ্যকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে গেলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে সমাধানের পথ বলা হয়।
অরূপের বক্তব্য, খাদ্যকে প্রক্রিয়াকরণ করতে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। হিমঘরে আলু যে তাপমাত্রায় থাকে, তাতে প্রক্রিয়াকরণ ঠিক হয় না। চিপস তৈরিতে ১০-১২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আলু সংরক্ষণ করতে হয়। আম, জাম, তাল, আনারস প্রভৃতির ভাল উৎপাদন হলেও অতিরিক্ত ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘সরকার চাইছে অতিরিক্ত খাদ্যসামগ্রীর প্রক্রিয়াকরণ। সেই ইচ্ছার বাস্তবায়নের উদ্যোগ হুগলি থেকেই শুরু হল।’’
ওঙ্কারনাথ জানান, পুরশুড়ায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তিলের হাব হচ্ছে। বলাগড়ে কলা ও পেঁপে হাবের চিন্তাভাবনা চলছে। আলু দিয়ে ভদকা তৈরি বা প্রক্রিয়াকরণ করে অন্য কিছু করতে চাইলে ভর্তুকি-সহ নানা সরকারি সুবিধা থাকছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)