অনুমোদন না-পাওয়া মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নিয়ে সতর্ক করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। তারা এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। তাদের তালিকায় রয়েছে ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন মেডিক্যাল কলেজের নামও।
কমিশনের বক্তব্য, দেশের কিছু সংস্থা কমিশনের অনুমোদন না নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ চালাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, তারা বিদেশি মেডিক্যাল কলেজের নাম করেও এখানে পঠনপাঠন চালাচ্ছে। ফাঁদে না পড়ার জন্য অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করেছে তারা। কমিশন যে সব মেডিক্যাল কলেজকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে সঞ্জীবন।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সঞ্জীবন কর্তৃপক্ষ। সংস্থার অধিকর্তা শুভাশিস মিত্রের দাবি, সঞ্জীবন নামে তাঁদের শুধুমাত্র হাসপাতাল আছে। সঞ্জীবন মেডিক্যাল কলেজ নামে তাঁদের কোনও আলাদা সংস্থা নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মালয়েশিয়ার একটি মেডিক্যাল কলেজের হয়ে এখানে ডাক্তারি পঠনপাঠন চালাতাম (অফশোর ক্যাম্পাস) ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে। কোনও আইনি বাধা ছিল না। ২০২১-এ জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন যখন জানায় বিদেশি মেডিক্যাল কলেজের অফশোর ক্যাম্পাস হিসাবে পঠনপাঠন চালানো যাবে না, আমরা বন্ধ করে দিই।’’ তাঁর আরও দাবি, ওই দু’বছরের পড়ুয়াদের শংসাপত্রও জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন এপ্রিল মাসে দিয়ে দিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)