—প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার ডুমুরজলায় ‘খেল সিটি’র দায়িত্ব অবশেষে যাচ্ছে হাওড়া পুরসভার হাতে। পুরো বিষয়টির তদারকির জন্য একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাডের অফিসে এ বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী, হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া প্রমুখ।
বছর তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাওড়ার ডুমুরজলার
৫৩ একর স্টেডিয়ামটিকে নিয়ে ‘খেল সিটি’র পরিকল্পনা করে রাজ্য ক্রীড়া দফতর। স্টেডিয়ামে সবুজায়নের পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেট, হকি-সহ নানা একাধিক খেলার জায়গা তৈরি করে হিডকো। সেই সময়ে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে, লেকের পাশে মূলত মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা হয় হেলিপ্যাড। যার ফলে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে গত কয়েক বছর সেখানে স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার প্রায় ছিল না। এ নিয়ে এলাকায় প্রথমে মিছিল করে স্থানীয়েরা ক্ষোভ দেখালেও খেল সিটির কাজ বন্ধ হয়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে হিডকোর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষের পথে। তাই এ দিন ক্রীড়ামন্ত্রীর উদ্যোগে হিডকোর থেকে দায়িত্বভার হস্তান্তরের জন্য হেলিপ্যাড অফিসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে একটি কমিটি গড়ে হাওড়া পুরসভার মাধ্যমে খেল সিটির কাজকর্ম পরিচালনার প্রস্তাব দেন ক্রীড়ামন্ত্রী। ওই কমিটিতে থাকার জন্য হাওড়ার
সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী তথা মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়, পুরসভার চেয়ারপার্সন ও জেলাশাসকের নাম প্রস্তাব করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, খেল সিটিতে খেলা অনুষ্ঠিত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ভাড়া নেওয়া হবে। কারণ এই স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই
স্টেডিয়াম ভাড়া দিয়েই ওই টাকা তোলা হবে।
এ দিন বৈঠকের পরে প্রসূন বলেন, ‘‘খেল সিটি তৈরি করেছে হিডকো। এখন থেকে
হাওড়া পুরসভার মাধ্যমে এটি পরিচালিত হবে। আগে ওই স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলি-সহ নানা ধরনের খেলার জন্য স্থানীয় ছেলেমেয়েদের নিয়ে শিবির ছিল। এলাকার মানুষের ক্ষোভের কথা ভেবেই সেই শিবিরগুলি যাতে ফের খেল সিটিতে জায়গা পায় ও স্থানীয়েরা সেখানে খেলতে পারেন, তা আগে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy