E-Paper

সই জাল করে কলেজে সভাপতি ছাত্রনেতা, অভিযোগ বিধায়কের

অভিযোগকারী বিধায়ক রত্না স্বয়ং। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ০৯:০৭
ইটাচুনা বিজয়নারায়ণ মহাবিদ্যালয়, সম্বুদ্ধ দত্ত (ইনসেট)। নিজস্ব চিত্র

ইটাচুনা বিজয়নারায়ণ মহাবিদ্যালয়, সম্বুদ্ধ দত্ত (ইনসেট)। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

গত বুধবার চন্দননগর কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই সংগঠনের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে পান্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগের সই জাল করে খন্যানের ইটাচুনা বিজয়নারায়ণ মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি পদে বসার অভিযোগও সামনে এল। আড়াই মাস আগে কলেজের ওই কমিটি তৈরি হয়েছে।

অভিযোগকারী বিধায়ক রত্না স্বয়ং। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি মোটেই সম্বুদ্ধ দত্তের নাম শিক্ষা দফতরে পাঠাইনি। আমার সই জাল করা হয়েছে। শিক্ষা দফতর এবং দলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। তবে, কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, জানি না।’’

কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম বীট সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে, কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা মেনে সম্বুদ্ধই সভাপতি পদে রয়েছেন।

সম্বুদ্ধ সই জালের অভিযোগ মানেননি। টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি পদ থেকে মাস দেড়েক আগে তাঁকে সরানো হয়েছে। মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সংশোধনাগারে যাওয়ার আগে বিধায়কের তোলা অভিযোগ নিয়ে সম্বুদ্ধের দাবি, ‘‘স্বচ্ছ ভাবেই খন্যান কলেজে দায়িত্ব পেয়েছি। রত্নাদি শ্রদ্ধেয় মানুষ। আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি।’’

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর সময় কলেজের তৎকালীন সভাপতি মানস মজুমদার পদত্যাগ করেন। তার পরে দীর্ঘ সময় পরিচালন সমিতি ছাড়াই কলেজ চলেছে। মানসকে সভাপতি পদে রেখে পরিচালন সমিতি গঠনের সুপারিশ করে একাধিক বার রত্না শিক্ষা দফতরে চিঠি দেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। সাধারণ ভাবে স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশ মতো কলেজ সভাপতি মনোনীত করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। পরিচালন সমিতি না থাকায় কলেজ চালানোয় নানা সমস্যা হয়। সেই কারণে কয়েক মাস আগে অধ্যক্ষ ইস্তফাপত্র পাঠান।

কলেজ সূত্রের খবর, এর পরেই শিক্ষা দফতরের তরফে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পরিচালন সমিতি গঠনের চিঠি পাঠানো হয়। দেখা যায়, কমিটির সভাপতি হয়েছেন সম্বুদ্ধ। পরের দিনই শিক্ষা দফতর এবং দলের কাছে সই জালের অভিযোগ জানান বিধায়ক। তার পরেও এপ্রিল মাসে দু’বার কলেজে সমিতির বৈঠক হয়েছে।

সম্বুদ্ধ গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূলের অন্দরে চর্চা চলছিলই। বিধায়ক রত্না দে নাগের অভিযোগ সামনে আসায় সেই চর্চা আরও জোরালো হয়েছে। গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার টিএমসিপি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতিও। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘রত্নাদি আমার নাম সভাপতি হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, যে ভাবে সই জাল করা হয়েছে, ভাবা যায় না। আমরাও এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছি, ভাবতেই কেমন লাগছে! দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’’

তথ্য সহায়তা: তাপস ঘোষ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pandua TMC MLA TMCP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy