কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় সংসদে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনায় সরব তৃণমূল। ঠিক তখনই যোগী-রাজ্যের প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নানের পর বিজেপি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তাঁর দলের অন্দরে বিতর্ক হয়। বুধবার হুগলির ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন রচনা। প্রয়াগরাজে স্নানের পর রচনা বলেছিলেন, ‘‘তুলনাহীন ব্যবস্থাপনা।’’
মাঘী পূর্ণিমায় ত্রিবেণীতে মাথায় জল ছিটিয়ে তারকা সাংসদ বললেন, ‘‘দারুণ!’’ রচনা এ-ও জানালেন, তিনি ‘কালার থেরাপি’ করেন। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমস্থল প্রয়াগরাজ। তেমনই ত্রিবেণীতেও তিন নদীর সঙ্গম। প্রয়াগকে বলা হয়, ‘যুক্তবেণী’। ত্রিবেণীকে ‘মুক্তবেণী’। হুগলির এই অঞ্চলটিকে দক্ষিণ প্রয়াগও বলেন স্থানীয়েরা। বুধবার মাঘী পূর্ণিমায় প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে ত্রিবেণীতে। চলছে পুণ্যস্নান।
সরস্বতী পুজোর দিন প্রয়াগরাজে পুণ্যস্নানের সময় হুগলির সাংসদের পরনে ছিল গেরুয়া বস্ত্র। ত্রিবেণীতে তিনি উপস্থিত হন সবুজ শাড়িতে। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘আজ বুধবার। তাই সবুজ। আমি ‘কালার থেরাপি’ করি।’’

হুগলির ত্রিবেণীতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলা দর্শনের অভিজ্ঞতা বুধবার আবার জানালেন রচনা। তিনি বলেন, ‘‘সরস্বতী পুজোর দিন ভিড় হবে বলে আমাকে যেতে বারণ করা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, সরস্বতী পুজোর দিনই স্নান করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওখানে খুব ভাল ব্যবস্থাপনা ছিল। অনেকটা দূরে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছিল। আগে যখন দুর্ঘটনা হয়েছিল, তখন হয়তো এই ব্যবস্থা ছিল না। তবে আমি যে দিন গিয়েছি, সে দিন খুব ভাল দেখেছি।’’
কী রকম? সাংসদ জানান, তিনি ‘ভিআইপি’ বলে যে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এমনটা নয়। সকলের জন্যই একই ব্যবস্থা। তৃণমূল সাংসদ মনে করছেন, পদপিষ্টের ঘটনার পরে হয়তো তৎপরতা বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। হুগলির কুম্ভমেলার ব্যবস্থাপনাতেও ‘খুশি’ রচনা। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিবেণী কুম্ভমেলার ব্যবস্থাও ভাল। সব দফতর মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে। ঘাটগুলোর একটু সংস্কারের প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন:
তৃণমূল সাংসদ জানান, তিনি তাঁর সাধ্যমতো সেই কাজের চেষ্টা করবেন। ত্রিবেণী ঘুরে ফিরে যাওয়ার সময়ে রচনার সংযোজন, ‘‘মহাকুম্ভে স্নান করেছি। তাই এখানে আর করলাম না। গঙ্গাজল মাথায় নিলাম।’’