Advertisement
E-Paper

TMC: চাঁদা তোলায় তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার

পুলিশ সূত্রের খবর, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে বুধবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দীপঙ্কর দে

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৮
 ৫০০১ টাকার বিল হাতে ডানকুনির এক ব্যবসায়ী।

৫০০১ টাকার বিল হাতে ডানকুনির এক ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।

‘অনৈতিক’ ভাবে দলীয় কার্যালয়ের নামে বিল ছাপিয়ে এবং দলের প্রতীক ব্যবহার করে টাকা তোলার অভিযোগে মঙ্গলবার ডানকুনির দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দলের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত এক জনকে বুধবার সন্ধ্যায় দল থেকে বহিষ্কার করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বহিষ্কৃত শেখ আলি ডানকুনি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন।

ডানকুনি শহর তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ রাহা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগে শেখ আলিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ টাকা তোলার কথা মানলেও ওই কাজ তাঁর অগোচরে হয়েছে বলে শেখ আলির দাবি। তিনি বলেন, ‘‘এক মাস আগে বিধায়ক স্বাতী খন্দকার কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। আমাদের না জানিয়ে দলের কিছু ছেলে বিল ছাপিয়ে এই কাজ করেছে। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি।’’

তৃণমূল সূত্রে খবর, অনেকের থেকেই টাকা তোলা হয়েছে। কারও থেকে তিন হাজার। কারও থেকে পাঁচ হাজার। যদিও, বিলে আদায়কারী হিসাবে কারও নাম নেই। এ নিয়ে থানায় প্রকাশবাবুরই দায়ের করা এফআইআর-এ নাম থাকা দলের অপর নেতা হলেনওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা বিদায়ী কাউন্সিলর হাসান মণ্ডল।তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য দলীয় ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। হাসানেরওদাবি, বিল ছাপানোর বিষয়টি তিনি জানতেন না।

পুলিশ সূত্রের খবর, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে বুধবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেনি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বিষয়টি নিয়ে ডানকুনি চৌমাথায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তৃণমূলের টালির চালের ওই কার্যালয়কে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতি সরগরম। স্থানীয় সূত্রের খবর, কার্যালয়টি সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের ছিল। ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূল দখল করে। সম্প্রতি নতুন করে কার্যালয়টির উদ্বোধন করে তৃণমূল। লিয়াকৎ আলি নামে এক তৃণমূল কর্মী জানান, কার্যালয়টি সংস্কার করে নতুন ভাবে তৈরির জন্যই টাকা
তোলা হচ্ছিল।

বিষয়টি সামনে আসতেই ময়দানে নেমেছেন বিরোধীরা। শহরের সিপিএম নেতা মানিক সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল তোলাবাজের দল। এলাকায় ওদের বহু নেতা কোনও কাজ করেন না। অথচ, হাতে-গলায় সোনার গয়না পরে, দামি গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়ান। তোলাবাজি না করলে এত টাকা আসে কোথা থেকে!’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকান্ত মাঝির তোপ, ‘‘বড় মাথা না থাকলে সাধারণ কর্মী এই কাজ করতে পারে না। চুনোপুঁটি নেতার বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা না নিয়ে রাঘববোয়াল ধরুক। পুলিশও
তাই করুক।’’

TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy