Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪
R G Kar Hospital Incident

মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ায় কলেজে প্রহৃত ছাত্রনেতা

গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরপাড়া থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন এসএফআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। তিন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

উত্তরপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

উত্তরপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫২
Share: Save:

আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় মিছিলের আয়োজন করেছিল এসএফআই। তাতে যোগ দিতে কলেজের সহপাঠীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই সংগঠনের এক ছাত্রনেতা। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে কলেজেই লাঠিপেটার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) তিন নেতার বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরপাড়া থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন এসএফআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। তিন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইন অনুয়ায়ী
ব্যবস্থা নেবে।’’

টিএমসিপি-র হুগলি জেলা সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই প্রতিবাদ-মিছিলের ব্যানারের বয়ান নিয়ে আমাদের সংগঠনের ছেলেদের সঙ্গে বিবাদের সূত্রপাত। তবে কলেজ চত্বরে মারধর ঠিক নয়। যারা ওই মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করে সংগঠনগত ভাবে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’
প্রহৃত এসএফআই নেতার নাম অরিন্দম হালদার। প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘ওই দিন দুপুরে কলেজ চত্বরে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই টিএমসিপি-র তিন নেতা সিসিক্যামেরা নেই, এমন একটি ঘরে আমাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে।’’ তাঁর দাবি, মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য তৈরি এসএফআইয়ের অন্য ছেলেদেরও মারধরের অভিসন্ধি ছিল। সেই কারণে তাঁর মোবাইল থেকেই ওই ছাত্রদের ফোন করা হয়। অরিন্দমের আরও অভিযোগ, ‘‘এর পরে আমাকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় অধ্যক্ষের ঘরে। কানাইপুরের এক যুব তৃণমূল নেতার প্রত্যক্ষ মদতেই ওরা এই ভাবে কলেজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।’’

বৃহস্পতিবার থানায় বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্যনেত্রী নবনীতা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি যে, উত্তরপাড়া থানা আমাদের প্রহৃত নেতার অভিযোগ পর্যন্ত প্রথমে নিতে চায়নি। মারধরে যুক্ত টিএমসিপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’’ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার দাবি, অভিযোগ পুলিশ নেয়নি, এই অভিযোগ ঠিক নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE