করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে চুঁচুড়া পুরসভার মল্লিককাশেম হাট-সহ বেশ কিছু এলাকাকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ (কন্টেনমেন্ট জ়োন) করেছে প্রশাসন। কিন্তু শুরুতেই করোনা বিধি লঙ্ঘন করতে দেখা গেল বিধায়ক অসিত মজুমদারকেই।
হাটটি আজ, শনিবার থেকে চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে শুক্রবার পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর এবং তৃণমূলের এক দল কর্মী-সমর্থককে নিয়ে হাটে ঘুরলেন অসিতবাবু। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আর্জি জানাতে এলেও বিধায়কের সদলবল উপস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই ছিল না। রীতিমতো গাদাগাদি করেই চলল স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রচার।
হাটে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পেতে অনৈতিক ভাবে তথ্য ‘চুরি’র অভিযোগে এ দিন সকালে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিও হয় বিধায়কের নেতৃত্বে। সেখানেও দূরত্ববিধির তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। অমল মজুমদার নামে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ভিড় না করার জন্য প্রচার ভিড় করে! জনপ্রতিনিধিরাই এমন করলে জন-সচেতনতা গড়ে উঠবে কী ভাবে?’’ বিজেপি নেতা স্বপন পালের টিপ্পনী, ‘‘তাড়ানোর নামে উল্টে করোনাকে ডেকে আনছেন বিধায়ক।’’
অসিতবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং বাজারে প্রচার সবই করোনা-বিধি মেনেই হয়েছে। ৫০ জন জমায়েতের নির্দেশ রয়েছে। সেইমতোই জমায়েত হয়েছিল।’’