‘বেআইনি’ চলাচলে লাগাম পরানোর উদ্দেশ্যে চলতি মাসের মধ্যে টোটো নথিভুক্তির (রেজিস্ট্রশন) কাজ শেষ করতে বলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কাজে গতি কই নবান্নের জেলা হাওড়ায়! জেলা পরিবহণ দফতরের কর্তারা মানছেন, এ ব্যাপারে টোটোচালকদের কোনও উৎসাহই দেখা যাচ্ছে না। টোটোচালকদের একাংশ অবশ্য দাবি করছেন, সরকারি প্রচার তেমন না হওয়ায় এ নিয়ে তাঁদের আগ্রহ নেই।
জেলা পরিবহণ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গ্রামীণ হাওড়ায় হাজার চারেক টোটো চলে। তার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত একশোটিরও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ফলে, ওই কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট সব মহলে। টোটোচালকদের একাংশের দাবি, সরকারি ভাবে পর্যাপ্ত প্রচার না থাকায় রেজিস্ট্রেশন কী ভাবে করতে হবে, সেটাই তাঁরা জানেন না।
উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘রেজিস্ট্রেশন ধীরগতিতে চলছে, এটা ঠিক। যাতে ওই কাজ গতি পায়, সে জন্য আরও বেশি প্রচার চালানো হবে। রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতিও প্রচার করে জানানো হবে।’’ একই বক্তব্য জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকেরও।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, গ্রামীণ হাওড়ায় টোটোর রমরমা বেড়েই চলেছে। বড় সড়ক থেকে অলিগলি— সর্বত্রই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টোটোর বাড়বাড়ন্ত। তার জেরে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জাতীয় সড়ক মুম্বই রোডেও ছুটে বেড়ায় অজস্র টোটো। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা বেআইনি কারখানা থেকে মানুষজন টোটো কিনে রাস্তায় নেমে পড়েন। টোটোর ওই সব বিক্রয় কেন্দ্র চিহ্নিত করা হচ্ছে। বৈধতা না থাকলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)