খোদ আরামবাগ পুরসভার বিরুদ্ধেই পূর্ত দফতরের জায়গা তথা ফুটপাত দখল করে খান পাঁচেক হকার্স কর্নার, মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। শহর জুড়ে ফুটপাতে ব্যবসা, ইমারতি দ্রব্য রাখা তো আছেই!
পূর্ত দফতরের মহকুমা ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা সহজ নয়। সহযোগিতা কার্যত মেলে না। জবরদখল তোলা নিয়ে পূর্ত দফতরের করা একাধিক মামলাও চলছে। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে কোনও নির্দেশিকা এলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।
ফুটপাত উধাও হওয়ায় ব্যস্ত বিভিন্ন রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশ-প্রশাসন ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযানে নামে। কয়েক দিন পরেই ফের দখল হয় ফুটপাত। বছর দুয়েক আগে আরামবাগ-চাঁপাডাঙা রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জবরদখলকারী উচ্ছেদ করতে না পেরে একটি জায়গায় হিসাব অনুযায়ী চওড়া করা যায়নি।
পল্লিশ্রী থেকে বাসুদেবপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি রাস্তায় ফুটপাত দখলের জেরে যানজট হয়। পল্লিশ্রী থেকে ৩০০ মিটার দূরে বাস স্ট্যন্ড থেকে বাসদেবপুর পর্যন্তও একই অবস্থা। ওই রাস্তা কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলার যোগাযোগের মাধ্যম। অজস্র গাড়ি চলে। অথচ, রাস্তার দু’দিক দখল করে ইমারতি দ্রব্য, পার্ক করা গাড়ি এবং হকারদের ডালার সৌজন্যে ৪৭ ফুট চওড়া রাস্তায় মেরেকেটে ২২ ফুট গাড়ি চলাচলের জন্য পাওয়া যায় বলে পূর্ত দফতরেরই হিসাব।
আরামবাগের তৃণমূল হকার সংগঠনের সভাপতি সফিকুল আলম বলেন, ‘‘কিছু হকারের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্যেও পুরসভার কাছে পুনর্বাসনের আবেদন করা হয়েছে।’’
নেতাজি স্কোয়ার থেকে হাসপাতাল রোডও গুরুত্বপূর্ণ। ওই রাস্তা ধরে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বিডিও কার্যালয়ে যাওয়া যায়। অথচ, ফুটপাত দখল হয়ে রয়েছে। ওই রাস্তার গায়েই পুরসভার ৪০টি দোকানের সুপার মার্কেট। পথচলতি মানুষ এবং গাড়ির ভিড়ে পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)