Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Gambling Den

জুয়ার ঠেকে আক্রান্ত পুলিশ, আইনজীবীকে মারের পাল্টা অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বালিখাল এলাকার শ্রীচরণ সরণিতে জুয়ার আসর বসেছিল। খবর পেয়ে বালি থানার পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে জুয়াড়িরা।

An image of Money

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৮
Share: Save:

গভীর রাতে জুয়ার ঠেকে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন দুই পুলিশকর্মী। অভিযোগ, পুলিশের পাল্টা মারে জখম হাওড়া আদালতের এক আইনজীবী। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে বালির শ্রীচরণ সরণিতে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই আইনজীবী-সহ দু’জন। হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশের মারে জখম, প্রায় অচৈতন্য ওই আইনজীবীর চিকিৎসা করা হয়নি প্রথমে। থানা থেকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার পরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বালিখাল এলাকার শ্রীচরণ সরণিতে জুয়ার আসর বসেছিল। খবর পেয়ে বালি থানার পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে জুয়াড়িরা। পুলিশের অভিযোগ, ওই সময়ে পৌঁছন বিকাশ সিংহ নামে ওই আইনজীবী। অভিযোগ, জুয়ার ঠেকে থাকা অভিযুক্তদের ছাড়ানোর নাম করে ওই আইনজীবী কর্তব্যরত পুলিশের উপরেই চড়াও হন। এমনকি, তাঁদের বেধড়ক মারধরও করেন। পুলিশের দাবি, বালি থানার এএসআই প্রসেনজিৎ ঘোষ ও হোমগার্ড সায়ন বিশ্বাস মাথায় আঘাত পেয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশ রবিবার রাতেই ওই আইনজীবী এবং প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে এক জনকে গ্রেফতার করে।

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আইনজীবীর বাবা মুরারি সিংহ বলেন, ‘‘এটা সর্ম্পূণ সাজানো মামলা। ঘটনার সময়ে বড় ছেলে বিকাশ বাড়িতেই ছিল। ছোট ছেলে বিনোদ সিংহ ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে দেখে ওকে ডাকতে গিয়েছিল। তখন পুলিশ বড় ছেলেকে সেখান থেকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে।’’ হাওড়া জেলা আদালতের আইনজীবীদেরও দাবি, বিকাশকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এর পরে বিকাশকে পুলিশ বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। সোমবার হাওড়া জেলা আদালতের ক্রিমিনাল বার লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট সমীর বসু রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘এক জন আইনজীবীর সঙ্গে পুলিশের এরকম আচরণের জন্য হাওড়া জেলা আদালতের আইনজীবীদের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করছি। এর জন্য আন্দোলনে নামার কথাও চিন্তাভাবনা করছি।’’ তবে পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই আইনজীবীই পুলিশকে মারধর করেন। গোলমালে তিনি আহত হয়েছেন, পুলিশে থানায় নিয়ে এসে মারেনি। চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই কর্তা জানান, থানায় থাকার সময়ে ধৃত অসুস্থ ছিলেন না। পরে পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আদালত সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনের তিন দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE