একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি-সহ পুলিশের হাতে পাকড়াও হলেন এক তৃণমূল কর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সঙ্গীকেও। মঙ্গলবার এ নিয়ে শোরগোল বীরভূমের সিউড়িতে। অনুব্রতম মণ্ডল, কাজল শেখের দলের অন্দরে ফিসফাস, কোনও শাসকনেতাকে খুনের চক্রান্ত হয়েছিল! একই কথা শোনা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রেও। তবে সরকারি ভাবে এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে নারাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সমেত এক ব্যক্তিকে ধরেছে তারা। তাঁর এক সঙ্গীকেও পাকড়াও করে সিউড়ি থানার পুলিশ। যাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে, তাঁর নাম হেমন্ত সাহা। তাঁর সঙ্গীর নাম স্বর্ণেন্দু মণ্ডল। দু’জনেই স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের ধরা হয়েছে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকার একটি গ্রাম থেকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, হেমন্ত কয়েক মাস আগে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন। হেমন্ত এবং তাঁর বন্ধুর গ্রেফতারের পর তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, শাসকদলের এক নেতাকেই খুনের ছক করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের কোনও এক ব্যক্তির কাছে থেকে ১০ হাজার টাকায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ কিনেছিলেন অভিযুক্ত। তাঁদের জেরা করার জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হয়।
আরও পড়ুন:
তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এক নেতার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে মন কষাকষি চলছিল হেমন্তের। কোনও একটি প্রকল্পের সুবিধা না-পাওয়া নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। সেই ঘটনা থেকে খুনের ছক কষে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়েছিল কি না, তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।