শ্যামপুর থানার সামনে একটি বিক্ষোভ করে বিজেপি। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তিতে জড়ান নেতাকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছেন বাবা। হাওড়ার শ্যামপুরের ওই ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করল বিজেপি। পাশাপাশি নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে নিহতের স্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন, তাঁরা রাজনীতি নয়, বিচার চান।
রবিবার সন্ধ্যায় শ্যামপুরের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্রী সাইকেল চালিয়ে কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার সময় তার পথ আটকায় পাড়ার ৩ যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ছাত্রীটির বাবা। অভিযোগ, তিনি মেয়েকে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই কাণ্ডে দায়ের হয়েছে খুন এবং পকসো আইন-সহ নানা ধারায় মামলা। অভিযুক্ত ৩ যুবকের মধ্যে এলাকার দুই ভাই রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতাকর্মীরা। বিজেপি গ্রামীণের সভাপতি নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানান, তাঁরা সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আন্দোলন করতে চান। সে ব্যাপারে মৃতের পরিবারের সহযোগিতা চায় বিজেপি। কিন্তু ওই পরিবার থেকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা এ নিয়ে কোনও রাজনীতি চান না। এবং পরিবারের কাউকে যেন ‘রাজনীতির মধ্যে জড়ানো’ না হয়। মৃতের স্ত্রী বিজেপির গ্রামীণ সভাপতি অরুণোদয় পালচৌধুরীকে বলেন, ‘‘যারা স্বামীকে খুন করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি চাই। আমরা কোনও রাজনীতি চাই না।’’
ছাত্রীর বাবাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার শ্যামপুর থানার সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করে বিজেপি। ওই কর্মসূচির আগেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তিতে জড়ান নেতাকর্মীরা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘‘গত রবিবারের ঘটনাই শুধু নয়, এলাকায় নানা রকম অসামাজিক কাজকর্ম হয়। তাতে পুলিশের মদত আছে।’’
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সমবায় মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ রায় বলেন, ‘‘সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করাই বিজেপির উদ্দেশ্য।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘ওই পরিবার গণতন্ত্রপ্রিয় পরিবার। তাই প্রশাসনের উপরই আস্থা রেখেছে। তাঁদের জোর করে রাজনীতির মধ্যে জড়ানো হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’’ পাশাপাশি ছাত্রীর বাবাকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় মন্ত্রী বলেন, ‘‘দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy