বাজি ও ডিজে-র বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার। সোমবার তুলসীবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র।
বাজি ও ডিজের বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। কেন তাঁরা ডিজে-বাজি বন্ধের দাবি তুলছেন, এই প্রশ্ন তুলে তাঁদের কটূক্তি এবং ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ায়।ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। ওই দুই মহিলা মঙ্গলবার বিকেলে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিকরা জানান, একটি জেনারেল ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে তুলসীবেড়িয়ায় স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের উদ্যোগে মিছিল হয়। তাতে এলাকার ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূরাও শামিল হন। মিছিলকারীদের হাতে ছিল শব্দবাজি এবং ডিজেবিরোধী প্ল্যাকার্ড। অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মিছিল থেকে ফেরার সময় তুলসীবেড়িয়া সর্দারপাড়ায় ৩-৪ জন যুবক ওই দুই মহিলার পথ আটকায়। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এক মহিলা বলেন, ‘‘ওরা আমাদের বলে, বাজি ফাটলে, ডিজে বাজলে, তোদের কী? এই বলে গালিগালাজ করে। আমরা প্রতিবাদ করলে ধাক্কাধাক্কি করে।’’
তাঁদের ক্ষোভ, প্রতি বছর কালীপুজোর সময় কয়েকটি পুজো কমিটি তারস্বরে ডিজে বাজায়। বিকট শব্দে বাজি ফাটে। তাতে কান পাতা দায় হয়। বয়স্ক লোকজন সমস্যায় পড়েন। সেই কারণেই শব্দবাজি এবং ডিজের প্রতিবাদ করতে সোমবার মিছিলে পা মেলান। সে জন্য মাঝরাস্তায় অসম্মানিত হতে হবে, তাঁরা ভাবতে পারেননি। এক মহিলার কথায়, ‘‘যা ঘটল, এ বার তো কালীপুজোর সময় বাইরে বেরোতে সাহস পাব না।’’
পরিবেশকর্মী কল্যাণী পালুই বলেন, ‘‘তুলসীবেড়িয়া এবং আশপাশেও ডিজে ও শব্দবাজির তাণ্ডব চলে। নিষেধ করলেও শোনা হয় না। ডিজে এবং বাজির ক্ষতিকর দিকগুলি বোঝাতে প্রচার করা হচ্ছিল। তার জন্য দুষ্কৃতীরা মেয়েদের হেনস্থা করবে! পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’ ঘটনার নিন্দা করে একই দাবি জানিয়েছেন হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সম্পাদক শুভদীপ ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy