Advertisement
E-Paper

বাড়ি রয়েছে অটুট, তবুও ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ বিজেপি কর্মী

বাড়ি অটুট থাকা সত্ত্বেও এ বার প্রশাসনের করা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বরের বালিগোড়ি-১ পঞ্চায়েতের এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তোলা ওই অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

দীপঙ্কর দে

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৪:২০
তারকেশ্বর সেই বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

তারকেশ্বর সেই বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

অভিযোগের তির এ বার ঘুরে গেল উল্টো দিকে!
হুগলিতে আমপান-ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগে এতদিন শাসকদলকে বিঁধছিল বিজেপি। নানা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি জমা চলছিল। বাড়ি অটুট থাকা সত্ত্বেও এ বার প্রশাসনের করা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বরের বালিগোড়ি-১ পঞ্চায়েতের এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তোলা ওই অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
কার্তিক মান্না নামে ওই অভিযুক্তের বাবা সীতানাথ পঞ্চায়েতের বিজেপি মণ্ডলের সভাপতি। তাঁর দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। ছেলে বাবার সঙ্গেই থাকেন। ক’দিন আগে ব্লক প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ করে। তাতেই কার্তিকের নাম দেখে তৃণমূল বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানায়। তারকেশ্বর ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কার্তিক বলেন, ‘‘ঝড়ে গাছ পড়ে বাড়ির পাশের একটি অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া ঘরের ক্ষতি হয়। তাই আবেদন করেছিলাম। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পাইনি।’’ তাঁর বাবা বলেন, ‘‘ছেলে কবে আবেদন করেছিল জানি না। দলীয় কর্মীরাই এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন। প্রশাসন তদন্ত করুক। টাকা পেলে ফেরত দিয়ে দেব। যাঁরা গরিব এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাক।’’ তৃণমূলের দাবি, কার্তিকদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর আসলে গোয়াল। এর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না।
তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা তথা পুর প্রশাসক স্বপন সামন্ত বলেন, ‘‘ওঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের কথা না-ভেবে নিজেদের স্বার্থ দেখেছেন। অবিলম্বে তদন্ত করে তালিকা থেকে ওই নাম বাতিল করার দাবি জানিয়েছি। কী ভাবে তালিকায় ওই নাম এল, তা নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে কথা বলব।’’
প্রথম দফায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতের করা তালিকায় ‘ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত’দের নাম নিয়ে হইচই করেছে বিজেপি। এ বার ব্লক প্রশাসনের তৈরি তালিকায় ক্ষতিগ্রস্ত নন, তাঁদেরই এমন দলীয় কর্মীর নাম আসায় বিজেপি নেতৃত্ব অস্বস্তিতে। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যদি এই ঘটনা সত্যি হয় তা হলে দলীয় ভাবেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা মোটেই কাম্য নয়। তৃণমূলের অভিযোগ তোলা সাজে না। ওদেরও তো একাধিক এই রকম দুর্নীতি আছে। ওরা প্রশ্রয় দেয়। আমরা দিই না।’’

TMC BJP Hooghly Amphan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy