চলছে অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র
সরকারি বিধি বলছে, কাজের মাপ অনুযায়ী মজুরি মিলবে। গ্রামবাসীর দাবি, কাজে নামলেই পুরো মজুরি দিতে হবে। খানাকুল-২ ব্লকের সেনহাটে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পুকুর কাটা নিয়ে শ্রমিকদের এই দাবি নিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে গোলমাল হচ্ছিল দিন কয়েক ধরে। মঙ্গলবার সকালে সেনহাটে বিডিও অফিস সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করলেন শ্রমিকেরা। তার জেরে বন্ধ রইল কাজ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের দৈনিক মজুরি ২০৪ টাকা। তবে, নির্দিষ্ট সীমার থেকে কম কাজ করলে পুরো মজুরি মেলে না। যদিও সেনহাটে ‘মিঠুপুকুর’ নামে একটি জলাশয় সংস্কারের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, তাঁরা যতটাই কাজ করুন, পুরো মজুরি দিতে হবে। এই নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ সুপারভাইজারদের সঙ্গে শ্রমিকদের একপ্রস্থ বচসা হয়। তার পরেই শ্রমিকেরা আরামবাগ-গড়েরঘাট রাস্তা অবরোধ করেন। তার জেরে রাস্তার দু’দিকে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
খবর পেয়ে খানাকুল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ ওঠেনি। পরে রাজহাটি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর প্রামাণিক এসে বিষয়টি নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনার ব্যবস্থা করলে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
প্রধানের বক্তব্য, ৬২ ঘনফুট মাটি কাটলে তবেই পুরো মজুরি মেলে। অনেকে তার অর্ধেক বা আরও কম কাজ করে পুরো টাকা দাবি করছেন। বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেননি। প্রশাসন সূত্রের খবর, তিনিও সরকারি নিয়মের কথা শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলেন। ওই শ্রমিকরা তাতে খুশি নন। টাকা নয়ছয় হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকেরা জানান, বিষয়টি তাঁরা জেলা প্রশাসনের নজরে আনবেন।
প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, অনিয়ম রুখতেই সহজে মজুরি পাওয়ার রেওয়াজে রাশ টেনেছে গ্রামোন্নয়ন দফতর। প্রযুক্তির সাহায্যে সংশ্লিষ্ট জায়গার যাবতীয় তথ্য ভৌগলিক মানচিত্রেরমাধ্যমে উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাজের গুণমান নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা জবাবদিহি করতে দায়বদ্ধ। এই সব কারণে ওই কাজ নিয়ে কড়াকড়ি অনেক বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy