রক্তদান: নিজস্ব চিত্র
ফি-বছরই গরমে এ রাজ্যে রক্তের হাহাকার হয়। হয়রান হয় রোগীর পরিবার। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি দফতরকে রক্তদান শিবির আয়োজনের নির্দেশ দেন। প্রতিটি থানাকেও উদ্যোগী হতে বলা হয়। সেই নির্দেশমতোই শনিবার সিঙ্গুর থানা দিয়ে হুগলিতে পুলিশের উদ্যোগে এই কর্মসূচি চালু হল।
সন্ধ্যায় থানা চত্বরেই আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মোট ৭০ জন ৭০ ইউনিট রক্ত দেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রক্তদাতাদের মধ্যে ২৮ জন পুলিশকর্মীও ছিলেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা প্রয়োজনে বেশি রক্তদাতা হাজির করতে পারতাম। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু পর্যায়ক্রমে সব থানাই এই কর্মসূচির আয়োজন করবে, তাই রক্তদাতার সংখ্যা ৭০ রাখা হয়।’’
মুখ্যমন্ত্রী শুধু রক্তদান শিবির আয়োজনের নির্দেশই দেননি। রীতিমতো সময়ও বেঁধে দেন। থানাগুলিকে চলতি মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে শিবিরের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুর থানায় এই কর্মসূচির আয়োজন ছিল পুলিশের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কারণ, এ দিন রাজ্য সরকারের ‘গ্রুপ ডি’ কর্মী পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। পুলিশকর্মীরা একদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে ঢুকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে, অন্যদিকে রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলেন। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সিঙ্গুর থানা এলাকায় অন্তত ২২টি রাত-পাহারার (আরজি পার্টি) দল রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি দলকেই শিবিরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। একই অনুরোধ করা হয়েছিল থানা এলাকার ২৭টি ক্লাবের সদস্যদেরও।
শিবিরে হাজির ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দশ জনের একটি দল। তাঁরাই শিবিরে রক্তদাতাদের থেকে রক্ত নেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘রক্তদাতাদের দুধ, মিষ্টি এবং জলের পাউচ দেওয়া হয়েছে।’’ সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না ছাড়াও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ছিলেন শিবিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy