অনিয়ম: হাসপাতালের নলকূপের সামনে জমে রয়েছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির মতো রোগ যাতে না-ছড়ায় তার জন্য লিফলেট বিলি করছে স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ির চারপাশ সাফাই রাখার পরামর্শ দিয়ে চলছে প্রচার। কিন্তু পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরই ভরে রয়েছে আবর্জনায়!
সাধারণের জন্য তৈরি শৌচালয় এতটাই অপরিচ্ছন্ন যে ঢোকা দায়। যেখানে-সেখানে জমে থাকে নোংরা জল এবং আবর্জনা। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে ঘুরতে হয় সাধারণ মানুষকে। হাসপাতালের দেওয়ালে গজিয়ে উঠেছে গাছের শিক়়ড়। নিকাশি নালার উপরে পড়ে থাকতে দেখা যায় রোগীদের ব্যবহৃত তুলো, ব্যান্ডেজ। রোগীর আত্মীয়দের ব্যবহারের জন্য রাখা পানীয় জলের কলের চারপাশও আবর্জনায় ভর্তি। মহিলা শৌচালয়ের সামনে লেখা, ‘যেখানে সেখানে পানের পিক-থুথু ফেলবেন না’। কিন্তু শৌচালয়ের দেওয়ালের অর্ধেক অংশেই লেগে থাকে পিক-থুথু।
হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের আশঙ্কা, জমা জল ও আবর্জনা থেকে রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। হাসপাতালের চত্বরেই এমন সব জায়গা রয়েছে, যেখানে মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা। অনেকেরই কটাক্ষ, হাসপাতালটিরই আগে স্বাস্থ্য-পরীক্ষার দরকার। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শঙ্করনারায়ণ সরকারের দাবি, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে আবর্জনা নেই। প্রতিদিন সাফাই হয়।’’
ওই ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতের বহু মানুষ হাসপাতালটির উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু চিকিৎসা গাফিলতি-সহ দীর্ঘদিন ধরেই ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে রাতে রোগী এলে চিকিৎসা না-করেই চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। রাতে হাসপাতালে বহিরাগতেরা এসে নেশা করে। কেউ বারণ করলে তাঁদের মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরের বেশিরভাগ আলো দিনেরবেলা জ্বললেও রাতে জ্বলে না। চিকিৎসা গাফিলতি বা অন্য অভিযোগও মানতে চাননি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy