প্রশ্ন: এমন হোটেলই মাথা তুলছে রূপনারায়ণের চরে। নিজস্ব চিত্র
রূপনারায়ণের চরে কী ভাবে হোটেল তৈরি হয়, তা নিয়ে বুধবারই প্রশ্ন তুলেছিল ‘রূপনারায়ণ বাঁচাও কমিটি’। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করল প্রশাসন।
ওই নদ সংস্কারের দাবি নিয়ে কমিটির পদযাত্রা বুধবার পৌঁছেছিল বাগনান-২ ব্লকের ওড়ফুলি গ্রামে। সেখানেই রূপনারায়ণের চরে দু’টি হোটেল তৈরি হয়েছে। আরও দু’টির নির্মাণকাজ চলছে। চালু হোটেলগুলির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদে। এ নিয়ে গ্রামবাসীরা কমিটির কাছে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আনন্দবাজারে। আর এ দিন ওই হোটেল গড়ে ওঠার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে কিনা, তা জানতে চেয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে চিঠি দেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য। পাশাপাশি এইসব হোটেল গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও সুমন চক্রবর্তী।
বিডিও বলেন, ‘‘হোটেল-মালিকদেরও আলাদা করে চিঠি দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। যে দু’টি হোটেলের নির্মাণকাজ চলছে, তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
বিডিও-র নির্দেশমতো এ দিনই তদন্তে নামেন সেচ দফতরের সিজবেড়িয়া ডিভিশনের বাস্তুকাররা। তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। দফতরের এক পদস্থ বাস্তুকার জানান, তাঁরা শীঘ্রই তদন্ত-রিপোর্ট জমা দেবেন। তদন্ত শুরু করার কথা জানানো হয়েছে ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক ভূমি দফতরের তরফ থেকেও।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, তদন্তে যে যে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে, তা হল— হোটেল যে জমিতে তৈরি হচ্ছে তার মালিকানা কার? সেই জমি আইনানুগ পদ্ধতি মেনে বাস্তুতে পরিণত হয়েছিল কিনা, হোটেলের নকশা অনুমোদিত হয়েছিল কিনা এবং বাঁধ দখল করে নির্মাণকাজ হয়েছে কিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy