Advertisement
E-Paper

স্বেচ্ছাবন্দি রয়েছে শেওড়াফুলির করোনা-আক্রান্ত প্রৌঢ়ের পাড়া

এলাকাবাসী যাতে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিত সতর্কতা মেনে চ‌লেন, সে ব্যাপারে প্রচার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৭:১০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মঙ্গলবারেও স্বেচ্ছাবন্দি রইল শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের পাড়া। প্রশাসনের তরফে অবশ্য মানুষের উদ্বেগ কাটাতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এ দিনও ওই পাড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ায় দমকল। এলাকাবাসী যাতে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিত সতর্কতা মেনে চ‌লেন, সে ব্যাপারে প্রচার করা হয়। দমকলকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন স্থা‌নীয় কাউন্সিলর প্রবীর পাল। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যাতে অযথা আতঙ্কিত না হন, সে কথাই বোঝানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সরকারি নির্দেশিকা মেনে লকডাউন পর্বে তাঁরা যেন বাড়িতেই থাকেন।’’

রবিবার রাতে ওই প্রৌঢ়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এলাকায় পৌঁছয়। পরের দিন স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভ্রাতৃবধূ এবং দুই নাবালক ভাইপোকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের বাড়ির দুই পরিচারিকা, এক পরিচারিকার স্বামী, দুই গাড়ি-চালক, এক গাড়ি-চালকের বাবা-মাকেও ওই হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। চন্দননগরের নার্সিংহোমে যে চিকিৎসক প্রৌঢ়ের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁকে ভর্তি করানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। প্রত্যেকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। বৈদ্যবাটীর পুরপ্রধা‌ন অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাঁরা যা নির্দেশ দেবেন, সেইমতো পদক্ষেপ করব।’’

জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে চন্দননগরের যে নার্সিংহোমে ওই প্রৌঢ় ভর্তি ছিলেন, সেটি বিধিবদ্ধ ভাবে পরিচ্ছন্ন করার জন্য চন্দননগরের পুর-কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছে শহরের বিভিন্ন সংগঠন। ওই সব সংগঠন চায়, ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীদের বিধি অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকার বিষয় প্রশাসন নিশ্চিত করুক। শহরের যে সব ল্যাবরেটরিতে রোগীর রক্ত-সহ নানা পরীক্ষা হয়েছে, সেখানকার কর্মীদেরও চিহ্নিত করে গৃহবন্দি রাখা হোক।

ওই সব সংগঠনের তরফে পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আতঙ্ক নয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যা করার কথা এখন তাই করা উচিত। কারণ, এর সঙ্গে বহু মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। তাই শিথিলতা দেখানোর কোনও জায়গা বা পরিস্থিতি নেই।’’

পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু জানিয়েছেন, প্রশাসন সতর্ক আছে। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও গোটা বিষয়টি বলা হয়েছে। ওই রোগীর কাছাকাছি যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা আপাতত বিচ্ছিন্ন থাকবেন।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy