Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বিদেশ ফেরতরা কোথায়, হন্যে জেলা প্রশাসন

শনিবার ভোর থেকে পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে আবাসনে-আবাসনে তল্লাশিতে নামলেন উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব।

 বিদেশ থেকে ফেরার পরে এক দম্পতিকে আবাসন থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব িচত্র

বিদেশ থেকে ফেরার পরে এক দম্পতিকে আবাসন থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব িচত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০৪:০৯
Share: Save:

মাসখানেকের মধ্যে বিদেশ বা ভিন্‌ রাজ্য থেকে কতজন মানুষ হুগলিতে বাড়ি ফিরেছেন, সেই তথ্য পেতেই নাকাল হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। তাই চিরুণি-তল্লাশিও শুরু হয়েছে।

শনিবার ভোর থেকে পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে আবাসনে-আবাসনে তল্লাশিতে নামলেন উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব। কোনও বাড়ির জামাই দুবাইয়ে রয়েছেন, তাঁর পরিবারের লোকজনের উত্তরপাড়ার কোতরংয়ে বিলাসবহুল আবাসনে যাতায়াত রয়েছে— এমন তথ্য ছিল পুলিশ, প্রশাসনের কাছে। কিন্তু এ দিন সেখানে গিয়ে ভিন্ন তথ্য মিলেছে। তা সত্ত্বেও ওই আবাসনের ওই পরিবারের লোকেরা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেতে নারাজ সরকারি হাসপাতালে। আবার ওই আবাসনের অন্য

বিদেশ ফেরত আবাসিকেরা কিন্তু দিব্যি চেপে বসেছেন পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সে। নারাজ বাসিন্দাদেরনিয়ে উদ্বিগ্ন আবাসনের প্রতিনিধিরা দ্বারস্থ হয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষের।

উত্তরপাড়ার কবি কিরণধন রোডে কেরল থেকে আসা বাসিন্দা বা সেখানে বিদেশ থেকে আসা মহিলা চিকিৎসকের হদিস পেতে কালঘাম ছুটেছে পুলিশ আর স্বাস্থ্যকর্মীদের। অনেকে আবার পুলিশ, হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে স্রেফ লুকোচুরি খেলেছেন দিনভর। বাড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছে তালা। কিন্তু প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, তাঁরা বাড়িতেই আছেন।

পুরপ্রধান দিলীপ যাদব অবশ্য কোনও বিতর্কে যেতে চান না। তিনি বলেন, ‘‘সবাই সু-নাগরিক। এখন বিপদের সময়। বিরোধের নয়। তাই আমি সহযোগিতা চাইছি সহ-নাগরিকদের কাছে। একবার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে শরীরটা দেখিয়ে নেওয়ায় তো কোনও অসুবিধা নেই।’’

বস্তুত, দক্ষিণ ভারত এবং বিদেশ থেকে আসা মানুষজনকে নিয়ে বালি থেকে বাঁশবেড়িয়ার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘন ঘন পুলিশ কন্ট্রোল-রুমে ফোন আসছে দিনভর। উত্তরপাড়া হাসপাতালের সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ফিভার-ক্লিনিক খুলেছি। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জ্বর-সর্দি নিয়ে আসা প্রায় দেড়শো মানুষের চিকিৎসা করেছি। আমরা মানুষকে সতর্ক করছি। অনেকেই হাসপাতাল থেকে মাস্ক নিচ্ছেন। কিন্তু মাস্ক সব সময় পরার প্রয়োজন নেই।’’

শুধু উত্তরপাড়া হাসপাতাল নয়, জেলার প্রতিটি মহকুমা হাসপাতাল এবং ব্লক হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, জ্বর নিয়ে অনেকেই ফিভার-ক্লিনিকে আসছেন। সব ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য জ্বর হচ্ছে অনেকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Uttarpara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE