Advertisement
E-Paper

লঙ্গরখানা থেকে খাবার বিলির ব্যবস্থা কোন্নগরে

এই বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেকেরই বাড়িতে রান্না করার সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই পুর কর্তৃপক্ষ রান্না করা খাবার দেওয়ার জন্য একটি লঙ্গরখানা খুলেছে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০০:৫২
লঙ্গরখানায় চলছে রান্না। নিজস্ব চিত্র

লঙ্গরখানায় চলছে রান্না। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রীয় সরকার হুগলিকে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ স্পর্শকাতর জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে এই ঘোষণার আগে থেকেই কোন্নগর পুর কর্তৃপক্ষ এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

কোন্নগর পুর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা জন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। ওই কন্ট্রোল রুমের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯। সেই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীকে প্রয়োজনীয় ওষুধও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে। অনেক প্রবীণ মানুষ আছেন যাঁদের নিময়িত ওষুধ লাগে। তাঁরা একা থাকেন। এখন এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে পুরকর্মীরাই ওষুধ বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।

এই বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেকেরই বাড়িতে রান্না করার সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই পুর কর্তৃপক্ষ রান্না করা খাবার দেওয়ার জন্য একটি লঙ্গরখানা খুলেছে। এলাকার অনেকেই সেখান থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। আবার যে সব এলাকার মানুষ

নিজেরা পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য পুরসভা মোট চারটি পার্সেল ভ্যান তৈরি করেছে। সেই ভ্যানগুলোই এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে তৈরি করা খাবার নিয়ে।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখায় জোর দেওয়া হয়েছে। তাই সকাল, দুপুর এবং বেশি রাতে তিনটি পর্যায়ে এলাকার ময়লা সাফাই অভিযান চলছে নিয়ম করে। পরিষেবা চালু রাখতে পুর কর্মীদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। রাত ১২ টার পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে পুরসভার ময়লা ফেলার পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

এলাকা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে তাই পুর কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশক ছড়ানো ও এলাকা ধোওয়ার কাজ শুরু করেছে। তবে বাজারগুলি ধোওয়ার জন্য দুপুরের সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ দুপুরে ফাঁকা থাকে সব বাজার এলাকা। ওই সময়েই কাজের বিশেষ সুবিধা হয়।

এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর জানতে পুরকর্মীদের বিশেষ দল করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলাকায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। কোনও ক্ষেত্রে জ্বরের লক্ষণ কারও মধ্যে দেখা গেলে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের দিয়ে দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পুরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এই জরুরি পরিস্থিতিতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি, এলাকার বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ পরিষেবা দিতে। এলাকায় যাতে রোগ না ছড়ায় এবং রোগমুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। ’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy