সরব: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রধানের পদত্যাগ এবং ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবিতে বােমদের বিক্ষোভ গরলগাছা পঞ্চায়েত অফিসে। ছবি: দীপঙ্কর দে
আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলির দলীয় স্তরে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘দলের কোনও পদাধিকারী বা জনপ্রতিনিধি তাতে যুক্ত কিনা, তা দেখা হবে। বেনিয়মে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’
এ দিন একই কথা জানান হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত কোনও তৃণমূল নেতা বা জন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা অরূপবাবু বা পুলকবাবু জানাতে পারেননি।
আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া নিয়ে অভিযোগের বন্যা বইছে জেলাজুড়ে। এই প্রেক্ষিতে টাস্ক ফোর্স গঠন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ফের যাচাই করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তালিকায় থাকা ‘ভুয়ো’ নাম বাদ দিতে হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। বাড়িঘরের ক্ষতি না হলেও ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের থেকে টাকা ফেরত নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘরবাড়ির ক্ষতি হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম ওঠেনি, এমন ব্যক্তিদের নতুন করে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের নাম উঠবে তালিকায়। এ-ও দাবি করা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরে, এমন অনেকেই টাকা ফেরত দিতে আসছেন, যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নন। যদিও শুক্রবার পর্যন্ত ঠিক কতজন টাকা ফেরত দিয়েছেন, তার হিসাব জেলা প্রশাসনের কর্তারা দিতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক তালিকায় ১৫,৭০০ জনের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে কত জন ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, তা-ও প্রশাসন জানাতে পারেনি। এক আধিকারিক জানান, অনেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেরত দেবেন বলেছেন। কিন্তু এখনও দেননি। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ‘‘ঘরবাড়ির ক্ষতি না হলেও ক্ষতিপূরণের সরকারি টাকা পেয়েছেন, এমন বহু মানুষ নিজেরাই টাকা ফেরত দিয়ে যাচ্ছেন।’’
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লার প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূলের দলীয় তদন্ত স্রেফ ভাঁওতা। এত দিন ধরে অভিযোগ উঠছে। এক জন দলীয় নেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শুনিনি।’’ একই অভিযোগ কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের।
হাওড়ায় ক্ষতিপূরকণের টাকা দেওয়া নিয়ে প্রথম অভিযোগ ওঠে সাঁকরাইলে। পরে একই অভিযোগ ওঠে পাঁচলায়। জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানান, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্তে পুলিশকেও সঙ্গে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy