ভোগান্তি: অভিযোগ জানিয়েছেন এই মহিলা। নিজস্ব চিত্র
কথা ছিল ডান দিকের দাঁত তোলার। কিন্তু চিকিৎসক তুলে ফেললেন বাঁ’দিকের দু’টি দাঁত। তাতে যন্ত্রণা বেড়েছে বই কমেনি। এমনই অভিযোগ তুলে চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন হুগলির পান্ডুয়ার এক মহিলা। চুঁচুড়ার ওই দন্ত চিকিৎসক অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, সমস্যা অনুযায়ী দাঁত তোলা হয়েছে। আদপেই সঠিক দাঁত তোলা হয়েছে, না কি বেঠিক, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পান্ডুয়ার সারদাপল্লির বাসিন্দা, বছর পঞ্চাশের প্রণতি সরকার জানান, কিছু দিন ধরে তাঁর ডান দিকের দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছিল। গত ১২ জানুয়ারি তিনি চুঁচুড়ার হাসপাতাল রোডে দন্ত চিকিৎসক দিলীপকুমার ঘোষের চেম্বারে যান। দাঁতের এক্স-রে করানো হয়। পরীক্ষার পরে চিকিৎসক জানান, প্রণতির ডান দিকের দু’টি দাঁত তুলতে হবে। সেই মতো গত রবিবার দুপুরে তিনি ফের ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যান ছেলে শুভাশিসকে নিয়ে। প্রণতির অভিযোগ, ‘‘যে দাঁত নিয়ে যন্ত্রণায় ভুগছি, চিকিৎসক সেই দু’টি তুললেন না। অথচ, আমার ভাল দু’টি দাঁত তুলে ফেললেন। আমি নিষেধ করলেও শোনেননি। দাঁত তোলার পরে আমার যন্ত্রণা বেড়ে যায়। চিকিৎসককে বলি। কিন্তু উনি আমার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে চেম্বার ছেড়ে বেরিয়ে যান।’’
একে যন্ত্রণা বেঁড়েছে দাঁতের। তার উপরে ভাল দাঁত হারিয়ে তিনি মানসিক যন্ত্রণায় কাতর! তাঁর কথায়, ‘‘এটা কী ধরনের ভুল! এমনটা কেউ করে! আমার বারণ পর্যন্ত শুনলেন না।’’ মঙ্গলবার দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। প্রণতির ছেলে শুভাশিস বলেন, ‘‘চিকিৎসক মায়ের দাঁত তোলার পরে জানতে পারি, উনি কত বড় ভুল করেছেন। আমরা চাই, চিকিৎসকের শাস্তি হোক।’’
কী বলছেন চিকিৎসক দিলীপবাবু? তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই মহিলার মাড়ির দু’দিকের দু’টি দাঁত তোলার কথা। বাঁ’দিকের দু’টি দাঁত প্রথমে তুলেছি। পরে ডান দিকের দু’টি দাঁত তোলার কথা। কোনও ভুল আমার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ওঁরা ভুল অভিযোগ দায়ের করেছেন।’’ ভুল-ঠিক বিচার করছে পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘চিকিৎসকের ভুলে মহিলাকে ভাল দু’টি দাঁত হারাতে হল কি না, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy