Advertisement
১৯ মে ২০২৪

চন্দননগর জোনে চ্যাম্পিয়ন শীতলপ্রসাদ

সিএবি পরিচালিত অনূর্ধ্ব ১৫ স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চন্দননগর জোনের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হল ডক্টর শীতলপ্রসাদ ঘোষ আদর্শ শিক্ষালয়। ফাইনালে লো-স্কোরিং ম্যাচে তারা ৬ রানে হারায় কানাইলাল বিদ্যামন্দিরকে (ইংরেজি বিভাগ)। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে দাত্তু ফাদকর ট্রফিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করল ডক্টর শীতলপ্রসাদ ঘোষ আদর্শ শিক্ষালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০১:৫১
Share: Save:

সিএবি পরিচালিত অনূর্ধ্ব ১৫ স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চন্দননগর জোনের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হল ডক্টর শীতলপ্রসাদ ঘোষ আদর্শ শিক্ষালয়। ফাইনালে লো-স্কোরিং ম্যাচে তারা ৬ রানে হারায় কানাইলাল বিদ্যামন্দিরকে (ইংরেজি বিভাগ)। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে দাত্তু ফাদকর ট্রফিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করল ডক্টর শীতলপ্রসাদ ঘোষ আদর্শ শিক্ষালয়।

চন্দননগর স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল হয় মানকুণ্ডু স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। ম্যাচ ৪৫ ওভারের হওয়ার কথা থাকলেও আগের দিনের বৃষ্টিতে পিচ ভেজা থাকায় খেলা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। সে জন্য ম্যাচ ৩৫ ওভারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শীতলপ্রসাদ। কানাইলালের ছেলেদের ভাল বোলিংয়ের সামনে তারা অবশ্য স্কোরবোর্ডে বেশি রান খাড়া করতে পারেনি। মাত্র ২৫.১ ওভারে ১০২ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। শীতলপ্রসাদের তরফে রোহন পাণ্ডে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে ৪৫ বল খেলে। তাদের ইনিংসে ধস নামায় কানাইলালের বোলার সুপ্রিয় ঘোষ। ৭ ওভারে ২০ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেয় সে। সুরজিৎ দে এবং সায়ন্তন দাস ২টি করে উইকেট পায়। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝামেলায় পড়ে যায় কানাইলাল। ২২ রানের মাথায় তাদের প্রথম দু’টি উইকেট পড়ে যায়। এর পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩০.৩ ওভারে ৯৬ রানে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। শেষ দিকে অবশ্য যে কেউ ম্যাচ জিততে পারত। কানাইলালের অষ্টম উইকেট পড়ে দলের ৮৮ রানে। ৯৬ রানের মাথায় পর পর বিপক্ষের দু’টি উইকেট তুল‌ে নিয়ে শেষ হাসি হাসে শীতলপ্রসাদের ছেলেরা।

কানাই‌লালের অভিষেক পোড়েল ৩২ বলে ৩০ রান করে দলকে জেতানোর মরিয়া চেষ্টা করে। কিন্তু মহম্মদ মুস্তাক আলমের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। মুস্তাক ৪.৩ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়ে বিপক্ষের পাঁচটি উইকেট শিকার করে। মহম্মদ শামিম ৭ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট পায়। ব্যাটের মতোই বল হাতেও সফল রোহন পাণ্ডে। ৭ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে বিপক্ষের ২ উইকেট তুলে নেয় সে। চ্যাম্পিয়ন দলকে স্বর্গীয় রথীন্দ্রনাথ খাঁ স্মৃতি ট্রফি দেওয়া হয়।

রানার্স দলকে দেওয়া হয় স্বর্গীয় ব্রজেন খাঁ স্মৃতি ট্রফি। ম্যাচ অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয় মুস্তাক। যুগ্মভাবে প্রতিযোগিতার সেরা মুস্তাকের সতীর্থ মহম্মদ আরশাদ ও রোহন পাণ্ডে। ফাইনাল পরিচালনা করেন সিএবি প্রেরিত আম্পায়ার সমুদ্রকান্ত দাস এবং শ্রীকান্ত বেহেরা। ফাইনালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়, সিএসএ- সাধারণ সম্পাদক বামাপদ চট্টোপাধ্যায়, মানকুণ্ডু স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি সমরেশচন্দ্র খাঁ প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cricket competition school cricket Chandannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE