সহায়তা: চিৎনানের একটি ত্রাণ শিবির। ছবি: সুব্রত জানা
জেলা প্রশাসনের আশঙ্কাই সত্যি হল। দামোদরের জলের তোড়ে শুক্রবার ডুবল আমতা-২ ব্লকের আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত।
দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছে উদয়নারায়ণপুরের কুর্চি-শিবপুর, হরালি-উদয়নারায়ণপুর, আরডিএ, ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর, গড়ভবানীপুর-সোনাতলা, পাঁচারুল, কানুপাট-মনসুখা, দেবীপুর, সিংটি ও আমতা-২ ব্লকের বিকেবাটি এবং থলিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে আপার রামপুর খালের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে উদয়নারায়ণপুরের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গা। বাদ যায়নি আমতা-২ ব্লকের জয়পুর, অমরাগড়ি, ঝিকিরা এবং ঝামটিয়ার মতো পঞ্চায়েতগুলিও।
তবে শুধু দামোদরই নয়। মুণ্ডেশ্বরী ও রামপুর খালেও জলস্রোত বাড়ছে। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দফায় দফায় জল ছাড়ে ডিভিসি। ১৮ হাজার কিউসেক থেকে শুরু করে জল ছাড়ার মাত্রা পৌছায় ২ লক্ষ কিউসেক পর্যন্ত। তার জেরেই এমন অবস্থা বলে দাবি সেচ দফতরের।
বুধবার উদয়নারায়ণপুরের চারটি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুবে গিয়েছিল আরও পাঁচটি পঞ্চায়েত। বৃহস্পতিবার রাতেই হুগলির চব্বিশপুরে আপার রামপুর খালের বাঁধ ২০০ ফুট ভেঙে যায়। আর তার ফলে শুক্রবার সকাল থেকে উদয়নারায়ণপুরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকে ৭০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং পানীয় জল, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। যদিও পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না বলে দুর্গত এলাকার মানুষদের অভিযোগ। জলমগ্ন এলাকার অনেক মানুষই আবার নিজেদের বাড়ির ছাদেই সাময়িক সংসার পেতেছেন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ত্রাণের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। নৌকা বা স্পিড বোটে করে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। সেই কারণেই এলাকায় ত্রাণ যেতে দেরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy