Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪

কুপ্রস্তাবের অভিযোগ, ফোনেই তালাক দিলেন স্বামী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্বশুর ওই বধূকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন, এই মর্মে লাজনা অভিযোগ জানান বছর খানেক আগে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৮
Share: Save:

শ্বশুরের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করার জেরে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে প্রায় আট মাস ধরে তাঁকে ঘরে আনছেন না স্বামী। থানা থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই অভিযোগে গোঘাটের সুন্দরপুর গ্রামের ওই গৃহবধূ লাজনা বেগম এবং তাঁর আত্মীয়রা গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদারে বাড়িতে ধর্না দিলেন। বিধায়ক বলেন, “বিষয়টা জটিল। পুলিশ প্রশাসন দেখছে। আমার তরফ থেকে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা যেতে পারে।” পুলিশ জানায়, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বসা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। প্রয়োজনে বধূকে থানায় মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্বশুর ওই বধূকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন, এই মর্মে লাজনা অভিযোগ জানান বছর খানেক আগে। প্রতিবেশীদের মীমাংসা মতো, শ্বশুর আব্দুল আজিজ মল্লিক দু’বিঘা জমি দিয়ে ছেলে সাইদুল মল্লিক এবং পুত্রবধূ লাজনা বেগমকে পৃথক করে দেন। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে দাবি করে, লাজনাকে জোর করে বাপের পাঠায় বলে সাইদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তারপর থেকে একাধিকবার শ্বশুরবাড়িতে এলেও বাড়ি তালাবন্ধ দেখে ফের বাপের বাড়ি ফিরতে হয়েছে লাজনাকে। সম্প্রতি আবার সাইদুল ফোনে তালাক দিয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। লাজনা বেগম বলেন, “ফোনে তালাক বলে দিলেই কি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়? আইন তো রয়েছে। আমার দাবি স্বামী আমাকে সম্মান দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাক।”

অন্য দিকে সাইদুল বলেন, “বাবার নামে মিথ্যা অভিযোগ তো আগেই করেছে। আমাকেও মিথ্যা সন্দেহ করে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। গত রবিবার লোকজন নিয়ে এসে বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরও করেছে। এসবের জন্যই রাগে ফোনে তালাকের কথা বলেছি।” শ্বশুরকে তুলে নিয়ে আটকে রাখার কথা স্বীকার করে লাজনা বলেন, “মারধর করিনি। আমাদের দাম্পত্য অশান্তির জন্য শ্বশুরই দায়ী। তাঁকে আটকে রেখে স্বামীকে বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। পুলিশ অবশ্য শ্বশুরকে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Goghat Talaq Sexual Harassment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE