Advertisement
E-Paper

নিকাশি নালাও পাট্টায়, নালিশ

পাট্টা বাতিল করার দাবিতে গোঘাট-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:১১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ভূমিহীনের জমির ব্যবস্থা করতে গিয়ে রেকর্ডভুক্ত নিকাশি নালা পাট্টা দেওয়ার অভিযোগ উঠল গোঘাটের ভুরকুন্ডায়। মঙ্গলবার সেই নিকাশি নালা ভরাট করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি করার প্রক্রিয়া শুরু হতেই গ্রামবাসীরা আপত্তি জানান। পাট্টা বাতিল করার দাবিতে গোঘাট-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে প্রতিটি বাস্তুহীন পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্থির হয়েছিল, ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে আড়াই কাঠা পর্যন্ত জমি কিনে দেওয়া হবে। বছর দু’য়েক ধরে পঞ্চায়েতের তরফে জমি খুঁজে সন্ধান মেলে ভুরকুন্ডা মৌজায় জে এল নম্বর ৭ দাগের মোট ৬ শতক জমির।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই ৬ শতক জায়গা রবিয়াল আলি ও তনুজা বেগম নামে দু’জনকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাজার কমিটির সম্পাদক শেখ আলকাস আলির অভিযোগ, ‘‘নালাটি গ্রামের দাসপাড়া, বাজার চত্বর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির একমাত্র ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ নালাটি বন্ধ হলে বর্ষায় গ্রাম ডুবে যাবে। এলাকার তৃণমূল নেতাদের একাংশের মদতেই এ সব হচ্ছে।’’

গোঘাট-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক শান্তনু কর বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতির সুপারিশের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে ওই পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সেটি নিকাশি নালাই দেখা গেছে। কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা শুক্রবার বন ও ভূমি সংস্কর স্থায়ী সমিতির বৈঠকে তোলা হবে।”

রেকর্ডভুক্ত নিকাশি নালা কিভাবে পাট্টা দেওয়া হল?

গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি তৃণমূলের পুতুল মূর্ম বলেন, “কিছু মনে নেই। নিকাশি নালা তো পাট্টা দেওয়ার কথা নয়।”

এ দিকে পাট্টা পাওয়া জায়গায় আদৌ বাড়ি তৈরি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে রবিয়াল আলি এবং তনুজা বেগমের পরিবার। দিনমজুর রবিয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তা নির্বাচিত হয়েছি। জমি পেয়েও বাড়ি করতে না পারলে তো মুশকিল।’’ তনুজা বলেন, ‘‘এতদিন মাথায় ছাদ ছিল না। জমিটা পেয়ে ভাবছিলাম, কষ্ট করেও বাড়ি বানাব। এ বার কী হবে?’’

Goghat Drainage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy