Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বীজ দেবে সরকার

দক্ষিণবঙ্গের কৃষি নির্ভর জেলা বর্ধমান, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরে এ বার বন্যায় চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ডিভিসি-র ছাড়া জলে নদী উপচে এবং বাঁধ ভেঙে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি এ বার জলের নীচে চলে গিয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের চাষিদের নিখরচায় ধান বীজ দেবে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের যে সব সরকারি কৃষি খামারে বন্যার জলে বীজতলার ক্ষতি সেই ভাবে হয়নি, সেখান থেকেই ওই বীজ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বন্যার জল যে সব জমি থেকে ইতিমধ্যেই নামতে শুরু করেছে, সেখানে যাতে চাষিরা দ্রুত চাষ শুরু করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই কৃষি দফতরের এই উদ্যোগ। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বীজ দেবে। চলতি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে চাষিরা যদি কাজ শুরু করতে পারেন তাহলে ধানের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যেই কিছুটা দ্রুততার সঙ্গেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

দক্ষিণবঙ্গের কৃষি নির্ভর জেলা বর্ধমান, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরে এ বার বন্যায় চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ডিভিসি-র ছাড়া জলে নদী উপচে এবং বাঁধ ভেঙে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি এ বার জলের নীচে চলে গিয়েছে। সেইসব জমির অনেকাংশেই চাষ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে ধানের পাশাপাশি নানা মরসুমি আনাজেরও ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতর অবশ্য ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানায়নি।

তবে রাজ্যের কৃষি দফতরের একটি সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যে মোট ১০ লক্ষ ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩২১ হেক্টর জমির ধান এ বার বন্যার জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদেরই সরকার ধানের বীজ দিতে চাইছে। ধানের পাশাপাশি ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আনাজ ফলেছিল। তার মধ্যে ২৯ হাজার হেক্টর জমির সবজি বন্যার জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কৃষি দফতর চাইছে, চাষিরা ফের দ্রুত ধানের বীজতলা তৈরির করে চাষের কাজে নেমের পড়ুক। তাহলে রাজ্যে বন্যায় চাষের ক্ষেত্রে যে সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার অনেকটা পূরণ হয়।

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে, সরকার চাইলেও চাষিদের পক্ষে এখনই জমি বা পরিস্থিতি চাষের কাজে ঠিক কতটা অনূকুল তা চাষিরাই বলতে পারবেন। ধনেখালি অঞ্চলের চাষি কাশীনাথ পাত্র মঙ্গলবার বলেন, ‘‘খানাকুলে জল নামতে সময় লাগবে। তারপর বীজতলা তৈরি করে, চাষের কাজ শুরু করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE