সেতুর প্রান্ত বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। —নিজস্ব িচত্র
বছর পনেরো আগে পান্ডুয়ার বৈঁচীর ডিভিসি সেতুর কিছু ফাটল মেরামত করা হয়েছিল। তারপর আর হাত পড়েনি। দিনে দিনে বেহাল হয়ে পড়া সেতুটিতে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। চলবে শুধু ছোট গাড়ি এবং সাইকলে, স্কুটি বা মোটরবাইক।
বুধবার স্থানীয় প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের কর্তারা ১৯৫৭ সালে ডিভিস খালের উপরে চালু হওয়া ওই সেতুটির অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তারপরেই বিপদের আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
‘দুর্বল’ বোর্ড লাগিয়ে সেতুর দু’প্রান্তের রাস্তার অনেকটাই বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। জেলা পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ। যখন-তখন বিপদ হতে পারে। তাই ভারী যানবাহন চলাচল আটকাতে সেতুর দু’ধার বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ বিষয়টা জানানো হয়েছে। তাঁরা সম্মতি দিলে আমরাই সেতুটি সংস্কার করব।’’
ডিভিসি-র আধিকারিক (রক্ষণাবেক্ষণ) তরুণ দাস বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষের স্বার্থে সেতুটি যখন তৈরি হয়েছিল, তখন গরুর গাড়িই বেশি চলত। বর্তমানে ভারী মালবাহী যান চলাচল করে। সেই কারণে সেতু দুর্বল হচ্ছে। পূর্ত দফতর আমাদের কাছে সেতু মেরামতের কাজ করার জন্য অনুমতি চাইলে অবশ্যই পাবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে সেতুতে সামান্য ফাটল দেখা দেওয়ায় মেরামত করেছিলেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেতুর বিভিন্ন জায়গায় চিড় ধরেছে। একাংশে ফাটলও ধরেছে। ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩০ টনের পণ্যবাহী যানবাহন চলত। নবদ্বীপ থেকে গুড়াপ হয়ে কলকাতা বা দিঘা, কালনা থেকে গুড়াপ এবং তারকেশ্বর রুটের বাসও নিয়মিত চলছিল। বুধবার থেকে সবই বন্ধ। অনেক যাত্রীকেই ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। হুগলির সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া জেলার সংযোগ ঘটিয়েছে এই সেতু।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ফেলে না-রেখে মেরামত করা হলে এ ভাবে সেতু বন্ধ করতে হতো না।’’ বৈঁচীর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘সেতুটি দ্রুত মেরামত না হলে সমস্যা বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy