রাস্তাঘাট থেকে বন্যার জল নেমেছে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে বাঁক কাঁধে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে তারকেশ্বরে। পুণ্যার্থীরা বেশির ভাগই বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে হেঁটে তারকেশ্বরে যান। সেই উপলক্ষে বৈদ্যবাটি চৌমাথা থেকে ওই ঘাট পর্যন্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও চলছে পুলিশের নজরদারি।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্রাবণী মেলার এক মাসে অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ নিমাইতীর্থ-সহ বৈদ্যবাটি পুর এলাকার অন্তত ৯টি ঘাট থেকে জল নেন। তবে, ভি়ড় বেশি থাকে নিমাইতীর্থ ঘাটেই। বিশেষত শনি, রবি এবং সোমবার ওই ঘাটে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। নিরাপত্তার কারণে দু’বছর ধরে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে ওই ঘাট এবং সংলগ্ন রাস্তায়। এ বার সেই ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে। তা ছাড়া, ‘CCTV P2P’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপসের সৌজন্যে এ বার অফিসে বসেই ওই ঘাট আর সংলগ্ন রাস্তার ছবি দেখতে পাচ্ছেন পুলিশ অফিসাররা। ওই অ্যাপসের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে ঘাটে বা রাস্তায় লাগানো সিসিক্যামেরা। তাতেই হাতের মুঠোয় চলে আসছে সেই সব জায়গার টাটকা ছবি।
জেলা পুলিশের দাবি, এই মোবাইল পরিষেবায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা অনেকটাই দূর হবে। এতে সিসিক্যামেরার আওতায় থাকা সমস্ত জায়গার পুলিশি ব্যবস্থা তদারকিতে যেমন সুবিধা হচ্ছে, তেমনি অন্য জায়গা থেকেও দিব্যি নজরদারি চালানো যাচ্ছে। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ভিড় সামাল দেওয়ার সময় বিশেষ কোনও জায়গায় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েনের প্রয়োজন হলে মোবাইলে ছবি দেখেই সেই নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এ বার পকেটমারি, ছিনতাই, কেপমারি বা মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তায় যাতে কোনও শিথিলতা না থাকে, তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।’’