Advertisement
E-Paper

বৈঠকে ডাক পেলেন না পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীই

নির্বাচনের সময় টিকিট পাওয়া নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখেছে হুগলি। এ বার দ্বন্দ্বের কারণ পদপ্রাপ্তি। পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন, কে হবেন উপপ্রধান— তা নিয়েই তৃণমূ‌লের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৮:০০

নির্বাচনের সময় টিকিট পাওয়া নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখেছে হুগলি। এ বার দ্বন্দ্বের কারণ পদপ্রাপ্তি। পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন, কে হবেন উপপ্রধান— তা নিয়েই তৃণমূ‌লের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

সিঙ্গুরের বিঘাটি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ধিতাড়া বুথ কমিটির পক্ষ থেকে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ‘বিমাতৃসুলভ আচরণের’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে হুগলির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, প্রবীর ঘোষাল— সবাইকেই চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিঘাটি পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিল সিপিএম। পরে সেই বোর্ড ভেঙে তৃণমূল পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে। প্রধান হন পার্বতী ঘোষ। উপপ্রধান হন শুভেন্দু মণ্ডল। তিনি দলের অঞ্চল সভাপতি। এ বার ওই পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি জিতেছে তৃণমূল। একটিতে জিতেছে সিপিএম। পার্বতীদেবী পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। অন্য দিকে শুভেন্দুবাবু ফের পঞ্চায়েতের আসনে জিতেছেন। শুভেন্দুবাবুর অনুগামীদের দাবি, তাঁকে গুরুত্বহীন করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে দলেরই একাংশের তরফে।

২৫ অগস্ট এখানে বোর্ড গঠন। প্রধান এবং উপপ্রধান কে হবেন‌, তা নিয়ে দলের স্থানীয় স্তরে বৈঠক হয়েছে। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘‘বৈঠকে আমি ডাক পাইনি।’’ ধিতাড়া বুথ কমিটির সভাপতি প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুভেন্দু তিন বারের জয়ী। অথচ তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গত বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন, এমন লোকেরা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। আমাদেরও কিছু জানানো হচ্ছে না।’’

পক্ষান্তরে, শুভেন্দুবাবুর বিপক্ষ শিবিরের হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী দীপক পাখিরা বলেন, ‘‘উনি নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। অঞ্চল সভাপতি হিসেবে ওঁরই বৈঠক ডাকার কথা। কিন্তু ডাকেননি। তাই বিধায়কের নেতৃত্বে বৈঠক হয়।’’

এ ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য, ‘‘গোঁজ প্রার্থী ওঁরা দাঁড় করিয়েছিলেন। আমাকে হারানোর সব চেষ্টাই করেছেন। কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছেই। আমার পক্ষে বৈঠক করার পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু বৈঠক হলে সেটাও ওঁরা জানাবেন না!’’

TMC Village Panchayat Infight
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy