Advertisement
E-Paper

ভোটের আগে বেহাল সাঁকো পরিদর্শন বিধায়কের

খালের উপর পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। বছর ১৫ ধরে তা আন্দোলনের রূপ নেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১১:০৮
সরেজমিনে: সাঁকো পরিদর্শনে বিধায়ক মানস মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

সরেজমিনে: সাঁকো পরিদর্শনে বিধায়ক মানস মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

গোঘাটের লালুকায় আমোদর খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। বাম আমলে ক্ষোভ-বিক্ষোভও কম হয়নি। তৃণমূল আসার পর লাগাতার ক্ষোভের জেরে সাইকেল পারাপারের মতো একটা বাঁশের সাঁকো করেছে। কিন্তু স্থানীয় ভুক্তভোগী ৯টি গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমেনি। তাই লোকসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার দুপুরে সেই বেহাল বাঁশের সাঁকো ঘুরে দেখে গেলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার। ভোটের পরই পাকা সেতু তৈরির আশ্বাসও দিলেন তিনি।

মানসবাবুর কথায়, ‘‘পাকা সেতুর দাবি ন্যায্য। ২০১৬ সালে বিষয়টা আমার নজরে আসায় মান্দারণ পঞ্চায়েতকে বাঁশের সাঁকো করে দিতে বলেছিলাম। এ বার ফের পাকা সেতুর দাবি জেনে গেলাম। ভোট মিটলেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালুকা মৌজার উপর দিয়ে যাওয়া আমোদর নদ এখন খালে পরিণত হয়েছে। খালের একদিকে মান্দারণ, হাজিপুর আর নকুন্ডা। আর উল্টো দিকে গোঘাট, কামারপুকুর। ফলে শহরের মূল কেন্দ্রে পৌঁছতে বাঁশের সাঁকোটি নকুন্ডার বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয়। বিকল্প পথ বলতে হাজিপুর-রামজীবনপুর রাস্তা। কিন্তু সেটা ধরে গেলে অতিরিক্ত ৮ কিলোমিটার বেশি পথ পেরোতে হয়। বর্তমানে সাঁকোটি মূলত ব্যবহার করেন চাষিরা। বেহাল ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াতের সময় খালে পড়ে যাওয়ারও ঘটনাও কম নয়।

খালের উপর পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। বছর ১৫ ধরে তা আন্দোলনের রূপ নেয়। আন্দোলনকারীদের অন্যতম নলডুবি গ্রামের বুলু সাঁতরার অভিযোগ, “বাম আমলে ২০০৭ সালে থেকে আমরা গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। ২০০৯ সাল নাগাদ বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জানানো হয়েছিল, সেতুটি নির্মাণের জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তহবিল মিললেই কাজ হবে। কিন্তু কিছু হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলও ক্ষমতায় এসে উপকার কিছু হয়নি। হয়েছে ওই বাঁশের সাঁকোটাই। তাও এখন বেহাল।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বুধবার বিধায়ক শুধু বেহাল সেতু-দর্শই করলেন না। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে মাঠে বসে ভাত, ডাল, সজনে ডাঁটা দিয়ে মসুর ডাল আর কুমড়ো শাকের তরকারিও ভাগ করে খেলেন। তা দেখে স্থানীয় এক বাসিন্দার টিপ্পনী, ‘‘একেই বলে ভোটের বালাই। বিজেপির পালে যাতে হাওয়া না লাগে, তাই এমন জনদরদি রূপ। আগে ওই সেতু নিয়ে কত বিক্ষোভ হয়েছে। কই তখন তো কারও টিকিও মেলেনি।’’

Goghat গোঘাট Bridge Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy